Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

‘করোনা পরবর্তী সম্ভাব্য মন্দা মোকাবিলায় টেকসই কৃষিব্যবস্থার নিশ্চয়তায় করণীয়’

ফরহাদ এইচ মজুমদার

জুন ২২, ২০২০, ১০:০৯ এএম


‘করোনা পরবর্তী সম্ভাব্য মন্দা মোকাবিলায় টেকসই কৃষিব্যবস্থার নিশ্চয়তায় করণীয়’

মানব সভ্যতার উত্থানের মূল উন্নয়ন ছিলো কৃষিকাজ। এই কৃষিকাজকে ঘিরেই পরবর্তীতে সংগঠিত হয়েছে আজকের এই নগর সভ্যতা। সভ্যতার শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত যে শিল্প টিকে আছে এবং অনাদিকাল টিকে থাকবে তা হলো কৃষি।

এ শিল্প বিকাশ তথা যুগোপযোগী করার জন্য একটি টেকসই কৃষি সমপ্রসারণব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। একটি দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে টেকসই কৃষিব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।

টেকসই উন্নয়ন বলতে ঐ ধরনের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডকে বুঝায় যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাও নিশ্চিত হয় আবার প্রকৃতি এবং আমাদের ইকোসিস্টেমেও কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

একইভাবে, টেকসই কৃষিব্যবস্থা বলতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর সক্ষমতার সাথে আপসহীন থেকে বর্তমান সমাজের খাদ্য ও বস্ত্র চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ উৎপাদন সক্ষমতা আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

এছাড়াও, টেকসই কৃষিব্যবস্থার সমপ্রসারণের ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক সাম্য, দূষণমুক্ত পরিবেশ ও অর্থনৈতিক লাভজনক উৎপাদনের কথা বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে কৃষির ভূমিকাই মুখ্য। কৃষিখাতে দৃশ্যমান সাফল্যের পেছনে কৃষিবিদরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তারা গবেষণার মাধ্যমে পরিবেশ উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সমপ্রসারণে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন।

এক্ষেত্রে টেকসই কৃষিব্যবস্থা নিশ্চিতরণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের বিকল্প নেই।

জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি)-২-তে উল্লেখ আছে— ‘ক্ষুধা থেকে মুক্তি, খাদ্যের নিরাপত্তা বিধান, পুষ্টি মান উন্নয়ন এবং কৃষিক্ষেত্রে টেকসই কর্মপদ্ধতির বিকাশ সাধন’।

বাংলাদেশ সরকার কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে নানাবিধ উপায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বিধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যার সঙ্গে পুষ্টি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বিশ্বব্যাংক (২০১৬)*-এর মতে, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরের একক অবদান উল্লেখযোগ্য।

বিগত এক দশকে, ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্যের হার ৪৮.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৩২.৫ শতাংশ হয়েছে শুধু কৃষি সেক্টর থেকে যেখানে প্রায় ৮৭ শতাংশ গ্রামীণ জনসংখ্যার আয় কৃষিনির্ভর। এই সাফল্যের পেছনে উন্নত বীজ, অধিক কৃষি গবেষণা, উন্নত গ্রামীণ রাস্তাঘাট এবং একটি দক্ষ বাজারব্যবস্থা অনেক বেশি অবদান রেখেছে।

বর্তমানে কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। কৃষিজমি কমতে থাকা, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর চাল ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে নানামুখী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি খাতে সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান দশম।

উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্যের উৎপাদন (৪৩২.১১ লাখ মেট্রিক টন)-এর লক্ষ্যমাত্রা (৪১৫.৭৪ লাখ মেট্রিক টন) ছাড়িয়ে গেছে। দেশ আজ চালে উদ্বৃত্ত; ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ। ভুট্টা উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৪৬ লাখ মে: টন।

নিবিড় চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। সবজি উৎপাদন বেড়ে ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত এবং বিশ্বে সপ্তম।

 এবছর আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ মেট্রিক টন। দেশে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারায় অষ্টম। আম উৎপাদন প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। (সূত্র: কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯)।

কিন্তু চীনের উহান শহরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর করোনা ভাইরাস প্রথম সংক্রমণের মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে এটি বৈশ্বিক সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হয়। ৪৫ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করে ভাইরাসটি।

এ বছরের মার্চ মাসের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডঐঙ) বিশ্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে অতি মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। মন্দার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে কৃষি খাতেও।

বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনব্যবস্থায় অক্টোবর মাস থেকে পরের বছর মার্চ মাস পর্যন্ত সময়টাকে বলা হয় রবি মৌসুম। এ মৌসুমে মাঠ ফসল উৎপাদনের জন্য প্রধান মৌসুম। এ মৌসুমে প্রাকৃতিক বৈরিতা তেমন থাকে না সে কারণে ফসল উৎপাদন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হয়।

এ মৌসুমে প্রধান খাদ্যশস্য বোরো ধানের পাশাপাশি গম, ভুট্টা, আলু, ডাল ও তেলবীজ, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচের মতো প্রধান প্রধান মসলা উৎপাদন ও সংগ্রহের কাজ চলে; প্রতিটি কৃষক পরিবার কাটায় ব্যস্ত সময়।

 এমন একটি সময়ে যদি কৃষকদের ঘরে থাকতে হয়, উৎপাদিত পণ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিক্রয় না করতে পারে, মাঠের ফসলের প্রয়োজনীয় পরিচর্যা না হলে এর প্রভাব কৃষির ওপর অবশ্যই পড়বে। আমরা যদি সরেজমিন কৃষিপ্রধান গ্রামগুলোর দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে, প্রায় সবদিকেই ঘরে ফসল ওঠানোর মতো পাকা ফসল বিদ্যমান।

তাই, এই সময়ে করোনাভীতি কিংবা কৃষক-কৃষাণীর কাজের প্রতি অনিহা বা অনাগ্রহতা কিংবা অপারগতা কৃষি এবং কৃষিজাত অথনীতির জন্য হতে পারে অশুভ সংকেত যার প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতেও পড়বে।

এছাড়া অন্যদিকে দুর্ভাগ্যক্রমে করোনার আবির্ভাব আমাদের দেশে এমন সময় হলো যখন এ সময়টি হচ্ছে দেশের জনপ্রিয় মৌসুমি ফল আম ও লিচু উৎপাদনের সময়কাল।

বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবছর গড়ে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়ই উৎপাদিত হয় প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস) (২০১৯) হিসাব অনুযায়ী দেশে ৩২ হাজার হেক্টর অর্থাৎ ৭৮ হাজার ১৯৫ একর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর ফলন হচ্ছে আট লাখ দুই হাজার ৭৫০ টন। বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়।

বাংলাদেশের মাথাপিছু আম উৎপাদনের পরিমাণ দেড় কেজির মতো। ভারতে মাথাপিছু ১১ কেজি, পাকিস্তানে ৬ কেজি, ফিলিপাইনে ৬ কেজি। উল্লেখ্য, বিশ্বে আম উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।

কিন্তু, বতমান করোনা ঝুঁকি, বাণিজ্যিকভাবে এই উৎপাদনের ধারাবাহিকতাকে ব্যাহত করছে, চাষিরা ফলন পাকলেও কাটছে না ফসল, মিলছে না পর্যাপ্ত ক্রেতা। একই অবস্থা বিরাজ করছে আরেক মৌসুমি ফল লিচুর ক্ষেত্রেও। সকল প্রকার দেশি ও আন্তর্জাতিক গণপরিবহন বন্ধ হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে হাজারো ম্যাট্রিক টন ফসল।

অন্যদিকে দেশের কৃষিতে যে বিপুল রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহূত হয় এসব রাসায়নিক দ্রব্যের কোনো কোনোটি কাঁচামাল হিসেবে আবার কোনোটি তৈরি পণ্য হিসেবে বিদেশ থেকে আসে। আমরা যে সবজি, ভুট্টা এবং পাট উৎপাদন করি এসব ফসলের বীজের প্রধান উৎস বিদেশ। আলু এবং কিছু কিছু হাইব্রিড ধানের বীজও বিদেশ থেকে আসে।

পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রপাতির সিংহভাগ আসে বিদেশ থেকে। করোনাজনিত কারণে এসব পণ্য বিদেশ থেকে সময়মতো আসা বিঘ্নিত হলে তার নেতিবাচক প্রভাব কৃষির ওপর পড়তে বাধ্য। এ অবস্থায় কৃষিকে টেকসই করতে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে খাদ্য

নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনের স্বার্থে যেমন :
প্রথমত. টেকসই কৃষিব্যবস্থার বাস্তবায়ন তথা সমপ্রসারণে কৃষক ও ক্রেতার সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। মাটির উর্বরতা, ভূ-গর্ভস্থ বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার হ্রাস করা, তথা ক্ষতিকর সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করার স্বার্থে নতুন উদ্ভাবিত কৃষিব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে, এসডিজি ২০৩০, রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১-এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট। ডেল্টাপ্লান : ২১০০ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সময়াবদ্ধ যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা অবশ্যই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলেই কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তব রূপ পাবে।

দ্বিতীয়ত. সরকারের পক্ষ থেকে এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী মানুষদের আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা অর্থাৎ করোনাকালে কৃষক-কৃষাণীদের সরাসরি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা।

এজন্য, করোনা পরবর্তী কিছু বছরের জন্য (অন্তত ৫ বছর) সহজ শর্তে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণের দ্রুত ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ২০২০ গঠন করা করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকার কৃষকদের জন্য স্বল্প সুদ জারি করেছে যা সুদমুক্ত এবং জামানতবিহীন হওয়া উচিৎ।

অন্যথায় স্কিমের মেয়াদ ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা যেতে পারে। তৃতীয়ত. করোনা পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ, বীজ, সার, বালাইনাশক, সেচব্যবস্থাপনাসহ কৃষি যন্ত্রপাতির সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

সবশেষে. কৃষি উপকরণ দেশের বাইরে থেকে আনা, খাদ্যপণ্য আমদানি-রপ্তানি এবং কৃষিপণ্যের ও উপকরণের অভ্যন্তরীণ বাজারব্যবস্থা সুচারুরূপে চালু রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কৃষি, বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তঃসমন্বয় জোরদার করতে হবে।

আর অবশ্যই ক্রেতাদের বা ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ‘মানভিত্তিক’ কৃষিপণ্য ক্রয়ের মানসিকতা পোষণ করতে হবে। অর্থাৎ, যে সকল কৃষক টেকসই কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব কৃষিপণ্য উৎপাদন করেন তাদের থেকে পণ্য সংগ্রহ করে তা বাজারজাত করার আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে।

লেখক : শিক্ষার্থী, উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগ
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আমারসংবাদ/এআই