Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

শোক দিবস হয়ে উঠুক শোষণমুক্তির মহাশক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী

আগস্ট ৮, ২০২০, ০৭:৩৬ পিএম


শোক দিবস হয়ে উঠুক শোষণমুক্তির মহাশক্তি

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং এদেশীয় তাদের দোসর স্বাধীনতাবিরোধী ও স্বাধীনতার পক্ষীয় কতিপয় বেঈমান পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও রাজনীতির ধারক-বাহকের ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

এখানেই তারা থেমে থাকেনি, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক-বাহক এবং বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপটেন এম মুনছুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামরুজ্জামান। এই চার জাতীয় নেতাকে ৩ নভেম্বর ’৭৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করে।

কী অপরাধ ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর, কী অপরাধ করেছিল শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যরা। অপর দিকে, কী অপরাধ ছিলো চার জাতীয় নেতার।

২০২০ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে নতুন প্রজন্ম ও জনগণ তা জানতে চায় বঙ্গবন্ধুর মতো পরিষ্কারভাবে ও বজ্রকণ্ঠে। আর এটা জানানোর দায়িত্ব আওয়ামী লীগ ও তার সরকারপ্রধানের শুধু নয়। এই দায়িত্ব প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের নতুন প্রজন্মসহ জনগণেরও রয়েছে।

তাই আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে  বিভিন্ন সূত্র থেকে জানামতে ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে আমার এই লেখার ক্ষুদ্রতম প্রয়াস। যদি আমার লেখার ত্রুটি থাকে তাহলে আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দ্বিজাতী (হিন্দু-মুসলিম) তত্ত্বের ভিত্তিতে অসম দূরত্বে অবস্থিত বাঙালি জাতির আবাসভূমি পূর্ব বাংলাকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক ও সামরিকতান্ত্রিক পাকিস্তান নামক একটি রাষ্ট্র গঠন করা হয়। এই রাষ্ট্রের জন্মদাতা উর্দু ভাষাভাষী কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

বাঙালি জাতিকে অশিক্ষিত জাতি হিসেবে রেখে দাসদের মতো চিরদিন শোষণ-শাসন কার জন্য বাঙালি জাতির মায়ের ভাষা বাংলা ভাষাকে হরণ করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে পাকিস্তানিরা।

ফলে ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু এবং ২০ মার্চ পল্টন ময়দানে একই ভাষণ তিনি দেন। উপস্থিত বাঙালির বীর সন্তান ছাত্রসমাজ সেদিন না না বলে প্রতিবাদ করেছিল।

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৯ ফাল্গুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্ররা খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকার রাজপথে নেমে পড়লে পাক পুলিশবাহিনীর গুলিতে রাজপথ রঞ্জিত করে ছালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো অনেকের বুকের তাজা রক্তে।

ছালাম, বরকত, রফিক, জব্বারকে ভুষিত করা হয় শহীদের উপাধিতে। একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ’৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বাঙালি জাতির বিজয়, ’৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ছয় দফা পেশ, ’৬৭ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুসহ ৩৩ জনকে আটক, ’৬৯ সালে জেলের তালা ভাঙবো বঙ্গবন্ধুকে আনবো স্লোগানে আন্দোলন। আর এই আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। পাকিস্তানিরা বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি  দেয়।

আলোচনার নামে পাকিস্তানিরা অস্ত্র ও সৈন্য আনে পূর্ব বঙ্গে। আলোচনা স্থগিত করা হয়। তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে ৭ মার্চ ৭১ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন— ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি তাহলে তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শুত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকো।’ এই ঘোষণাটি ছিলো মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা। অপারেশন সার্চলাইট নামে ২৫ মার্চ রাতে পাকবাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে গণহত্যা শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু খবর পেয়ে বিশেষ বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের কাছে পৌঁছান। রাত ১টা ১০ মিনিটে পাকবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে আটক করে নিয়ে যায়।

২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়। ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার  ঘোষণা  পাঠ করেন।

১০ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মুনছুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাককে পরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কর্নেল এমএজি ওসমানীকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক করে বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ করে এবং দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে  মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ  মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনা অর্জন করে। অপর দিকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াত শিবির মুসলিম লীগাররা রাজাকার, আলবদর ও আলসামশ বাহিনী গড়ে তুলে পাক বাহিনীর দালাল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করে। শুধু তাই নয়, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধকে।

অপর দিকে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া নবম নৌবহর পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের শিখরে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সহযোগিতা করে।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জুন বাংলাদেশে আসেন। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি জনতাসহ সকল বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির মাধ্যমে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মের নিশ্চয়তা প্রদানের মধ্য দিয়ে শোষণ, বৈষম্য, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকমুক্ত ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ সমন্বিত সংবিধান ’৭২ সালে জাতিকে উপহার দেন পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও রাজনীতির বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য।

নিষিদ্ধ করেন জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে। শুরু করেন রাজাকার দালালসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। ’৭২ সালের সংবিধানের আলোকে সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে জমি ও সম্পদের মালিকানা নিরূপণ করেন ১৩ ধারার (ক) তে দেশের বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত অর্থাৎ বড় বড় শিল্প কলকারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানা, (খ) তে আইন দ্বারা নির্ধারিত সীমার ওপরে জমি ও খাস জমি নিয়ে  সমবায় মালিকানা, সমবায়ের পক্ষে রাষ্ট্রের মালিকানা, (গ) তে আইন দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে ব্যক্তিমালিকানার মধ্য দিয়ে সামাজিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেন।

আর আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিপরীতে গণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য জেলায় জেলায় গভর্নর পদ্ধতি চালু করেন। স্বাধীনতার পর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করে বলেন, পাকিস্তানের ঋণের দ্বায়ভার যদি গ্রহণ  করেন তাহলে বাংলাদেশের পুনর্গঠনে তারা ঋণ সহযোগিতা দেবে।

বঙ্গবন্ধু তখন তাদের বলেন, ‘ভদ্র মহোদয়গণ, যদি শর্তের কথা বলেন তাহলে আপনারা আসতে পারেন।’ ১৯৭৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জাতির জনক জাতিসংঘে বাংলায় দেয়া তার ভাষণে বলেছিলেন— ‘বিশ্ব আজ দু-ভাগে বিভক্ত, এদিকে শোষক শ্রেণি আরেকদিকে শোষিত শ্রেণি, আমি শেখ মুজিবুর রহমান শোষিত শ্রেণির পক্ষে।’ কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্তো বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, তোমাকে দেখেছি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বন্ধু আজ থেকে সাম্রাজ্যবাদীদের একটি বুলেট তোমার পেছনে ছুটবে।’

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ শোনার পর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। ’৭৪ সালের বিজয় দিবস পালন অনুষ্ঠানে জাতির জনক বলেন, ‘আমাদের প্রধান ও শেষ শুত্রু হলো— ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোর, মজুতদার, চোরাকারবারি, আমার দেশের সম্পদ যারা বিদেশে পাচার করে তারা।

এদের জাত নেই, দেশ নেই। এরা দেশের শুত্রু। এদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমি গ্রামে গ্রামে নামবো। আপনাদের সহযোগিতা চাই। এদের বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে হবে।’ ’৭৫ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু একই কথা বলে দুটি কথা সংযোগ করে বলেন, ‘আমরা শোষকের গণতন্ত্র চাই না, আমরা শোষিতের গণতন্ত্র চাই।’ এটাই হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ, নীতি ও ’৭১-এর চেতনা।

বঙ্গবন্ধুর উপরোল্লিখিত ভাষণ ও কর্মকাণ্ডে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং এদেশীয় পুঁজিবাদের ধারক-বাহকরা ভাবতে থাকে বঙ্গবন্ধুু যদি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তার প্রভাব ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে পড়বে এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার হবে। ফলে পুঁজিবাদের পতন ঘটবে।

অপর দিকে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে  চীন সহযোগিতা করে ভারত মহাসাগরে তার প্রভাব বিস্তার করে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করবে। ফলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এবং তাদের দোসর পুঁজিবাদের ধারক-বাহকদের স্বার্থ বিলীন হবে। তাই তারা জাতির জনক ও চার জাতীয় নেতাকে  এদেশীয় পুঁজিবাদের  ধারক-বাহক ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রে হত্য করা হয়।

মোশতাক-জিয়া  ক্ষমতায় এসে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২ সালের সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা  ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ উপড়ে ফেলে লুটেরা পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও রাজনীতি চালু করে। লুটপাট এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সারা দেশে এটি পুঁজিপতি শ্রেণি গড়ে তুলে।

পুঁজিপতি শ্রেণির ক্ষমতায় যাওয়ার ও থাকার জন্য নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির এবং আমলাদের ওপর ভর করে এবং ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

এছাড়াও কালো টাকার মালিক অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের টিকিট দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী করে বা দেখিয়ে তারা সংসদে গিয়ে নিজের স্বার্থে আইন প্রণয়ন করে কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার রক্ত শোষণ করে এবং বৈষম্যের সৃষ্টি করে। আর দুর্নীতি ও সন্ত্রাস হয়ে পড়ে পুঁজি বৃদ্ধি করা ও তা রক্ষা করার বাহন হিসেবে।

পুঁজিবাদী তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ধারায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। শুধু সম্ভবই নয় ’৭২ সালের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিকও বটে। বঙ্গবন্ধু ও চার  জাতীয় নেতার কোনো অপরাধ ছিলো না।

সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ও রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণ, বৈষম্য, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি দেয়ায় জাতির জনক ও চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আর এ কারণেই ১৫ আগস্ট আমরা জাতীয় শোক দিবস পালন করি।

২০২০ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনকের আদর্শ, দর্শন ও নীতি সমাজতান্ত্রিক  সমাজ ও রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে ’৭২ সালের সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো বজ্রকণ্ঠে আহ্বান জানানো হোক দেশবাসীর প্রতি। সমাজতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার মধ্যেই রয়েছে জাতীয় শোক দিবস পালনের স্বার্থকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

অপর দিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পরিণত হবে সকল অপরাজনীতি দূরীভূত করে শোষণমুক্তির এক মহাশক্তিতে বলীয়ান হওয়া।

আমারসংবাদ/এসটি