Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

এগিয়ে যাচ্ছে তাড়াশ, ধন্যবাদ আব্দুল আজিজ এমপি

রফিকুল ইসলাম

জানুয়ারি ৯, ২০২১, ০২:৫৫ পিএম


এগিয়ে যাচ্ছে তাড়াশ, ধন্যবাদ আব্দুল আজিজ এমপি

আজ দুপুরের কথা। বাসা থেকে অফিসে যাচ্ছি। প্রতিদিনের মতোই নিয়ম করে বাসে বসে অনলাইন গণমাধ্যমে নিউজ দেখছি। আমার নিজ (সিরাজগঞ্জের তাড়াশ) উপজেলার একটি নিউজ দেখে হটাৎ চোখ আটকে গেলো। দেখলাম, তাড়াশে কোটি টাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ উদ্বোধন শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ হয়েছে। নিউজটা গুরুত্ব দিয়েই পড়লাম। দেখলাম, তাড়াশে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতি কেন্দ্রের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ। এটি তাড়াশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক বড় একটি উপহার। বিষয়টি ভাবতেই মনটা ভরে গেলো।

এমন সময় হটাৎ মনে পড়লো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ের কথা। আমার এলাকায় গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নের জন্য সে সময় সাবেক এমপি মান্নান তালুকদার (তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনে বিএনপি দলীয় এমপি) একটি সভায় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘রাস্তার উন্নয়নের জন্য এত গম দিলাম,  সেগুলো কোথায় গেলো! গম থাক, বস্তাগুলো দিলেও তো রাস্তা পাহাড়ের মতো উঁচু হতো!’ সাবেক এই এমপির এসব কথা এখন শুধুই স্মৃতি। পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছেন নৌকা প্রতীকের এমপি, উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা। তারা প্রতিহিংসা ও লুটপাটের রাজনীতি পরিহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ একের পর এক উন্নয়নের মাধ্যমে তাড়াশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। দলটির দায়িত্বশীল নেতাদের কারণেই আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতি কেন্দ্রের নির্মাণকাজসহ হাজারো উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ। 

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দুর্গ ভেঙে তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন প্রয়াত ইসহাক হোসেন তালুকদার। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের নজিরবিহীন সন্ত্রাসী  কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নের নামে লুটপাটকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন স্থানীয় জনগণ। তারা নৌকা সমর্থিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয় উপহার দেন। এখন তাড়াশ উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দৃশ্যমান। সাবেক সাংসদ গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলনের পর বর্তমান তাড়াশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ।  তার সময়েই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় একযুগ পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন তাড়াশে একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে। এমপি ও চেয়ারম্যানদের সঠিক পরিকল্পনা ও সততার ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আর তাড়াশে কর্দমাক্ত রাস্তা নেই বললেই চলে। চলনবিলের বুকে তৈরি হওয়া রাস্তাই বিলের তলানীর গ্রামগুলোর আস্থার প্রতীক। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও ক্রয়-বিক্রয়ের বাজার এবং যানবাহন সুবিধার সুফল পাচ্ছেন প্রত্যেক কৃষক।

এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ সুবিধা। অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গির্জা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে পৌঁছে গেছে সৌরবিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ও সৌরশক্তি প্যানেল প্রতিটি ঘরেই যেনো স্বপ্নের আলো জ্বলছে; যা ১০ বছর আগেও শুধুই স্বপ্ন ছিলো। অধিকাংশ মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মে যুক্ত হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে শিক্ষার হার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই মানুষ পাচ্ছে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা। বন্যাসহ যেকোনো দুর্যোগে প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। করোনায় দল ও সরকারের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ মানবিকতায় প্রশংসা কুড়িয়েছে পুরো উপজেলাজুড়ে।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় ভালো আছে বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক দলগুলো। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা, মামলা, মারধর ও রক্তে রাজপথ লাল করলেও আজ আওয়ামী লীগের একজন নেতাকর্মীও তাদের ধমক দিয়ে কথা বলেন না। যদিও তাড়াশ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করতে পারেনি। বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেতাদের ঠেলাঠেলিতে দূরে সরে যাচ্ছেন দলের দুর্দিনের ত্যাগী, পরিশ্রমী এবং মাঠের আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকা নেতাকর্মীরা। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে মনে করি, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দলীয় কোন্দল নিরসন এবং ত্যাগীদের মূল্যায়ন জরুরি।

লেখক: রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)