Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

শেখ হাসিনা : অন্ধকার থেকে আলোর পথে প্রত্যাবর্তন

মোতাহার হোসেন

মোতাহার হোসেন

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৯:০০ পিএম


শেখ হাসিনা : অন্ধকার থেকে আলোর পথে প্রত্যাবর্তন

শেখ হাসিনা শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস, এক গৌরবোজ্জ্বল আন্দোলন সংগ্রামের আলোকবর্তিকা। এই ইতিহাস-গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের অভিযাত্রার কণ্টকাকীর্ণ আর পথচালায় পদে পদে বিপদ, মৃত্যুভয়, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই অত্যন্ত সাহসী অথচ সর্তকতায়, আস্থায়, বিশ্বাসে অবিচল, অনঢ় থেকেই পাড়ি দিয়েছেন জীবনযুদ্ধে, পিতা মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। একই সঙ্গে দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার, আত্মর্যাদা, সম্মান প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সফলতার সঙ্গে নেতৃত্বেও অগ্রভাগে থেকে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনার জন্মদিন আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। এটি হবে তার ৭৬তম জন্মদিন।

১৯৪৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন গোপলগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। তার জন্মদিন মানেই হচ্ছে গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম, বাংলাদেশের পুনর্জন্ম। এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন নেই তবুও স্বরণ করিয়ে দেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত হওয়ার আগে ছোটবোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ অবস্থান করছিলেন। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার সংবাদ পান।

তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার কোনো পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। সেদিন তিনি ও তার বোন বোন রেহানা যদি দেশে থাকতেন নিশ্চিত পিতা-মাতা ভাই, ভাবিদের মতো তাদের দুই বোনকেও অনুরূপ ভাগ্য বরণ করত হতো। কিন্তু কথায় আছে, ‘রাখে আল্লাহ, মারে কে?’ আল্লার অশেষ রহমতে সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বেঁচে যাওয়ায় আজ দেশের মানুষ গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, ভাতের নিশ্চয়তা পেয়েছে। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

কাজেই তৎকালীন স্বৈরশাসকের রক্ষচক্ষু ও শত বাধা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন থেকেই শুরু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কীভাবে বাঙালি জাতির কাণ্ডারি হয়েছেন তারই ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস। এই দীর্ঘ আন্দেদালন সংগ্রামের অভিযাত্রায় সাধারণে অসাধারণ অগ্নিপরীক্ষায় অবতীর্ণ শেখ হাসিনার বীরত্বের অনন্য উপাখ্যান।

মূলত এই বীরত্ব গাথা উপাখ্যানের সূচনা (জন্ম) হয়েছিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এক ফিনিক্স পাখি। ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠে তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এই বাংলার আপামর মানুষের কল্যাণে, পিতার আদর্শ এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। তিনি ১৯৯০ সালের স্বৈচারবিরোধী ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। সমস্ত জীবন ধরে কণ্টকাকীর্ণ এক দীর্ঘ পথ হেঁটে, সহস্র বাধা মাড়িয়ে তিনি আজকের শেখ হাসিনা। 

এই পথের বাঁকে বাঁকে ছিল জীবনের ঝুঁকি। শত্রুর শ্যেনদৃষ্টি তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখে এটি এই দেশের প্রতিটি মানুষই উপলব্ধি করে। দিনে দিনে শেখ হাসিনার জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য। তার সুদক্ষ ও আন্তরিক নেতৃত্বের কারণে এ দেশের মানুষ একটি উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচবার স্বপ্ন দেখে।

কেননা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তথা ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়েই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন। এ দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার এক নতুন লড়াইয়ে আজ তিনি অবতীর্ণ। সেই নিরিখেই তিনি ঘোষণা করেছেন ভিশন-২০২০ এবং রূপকল্প-২০৪১। এই লড়াইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাবে।

তারই সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোলমডেল, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, চিকিৎসার উন্নয়নের স্বীকৃতি এসেছে বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে। ছোটবেলা থেকে মানুষ, দেশ, মানুষের কল্যাণ চিন্তা অন্তরে প্রথোথিত হয়েছে মূলত পিতা বঙ্গবন্ধু থেকেই।

সেই চেতনা ও তাড়না থেকে স্বাভাবিক কারণেই স্কুলজীবন থেকেই তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমানে বদরুন্নেসা কলেজ) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ওই কলেজের ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক সংগ্রামের তিনি নিবিড় ও প্রত্যক্ষ সাক্ষী। মুজিবকন্যা হওয়ার কারণেই পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে বহু ঘাত-প্রতিঘাত ও সংকটময় পরিস্থিতি তাকে পার করতে হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯৮১ সালের দলের কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করার সেদিনের সেই সিদ্ধান্তটি পরবর্তীতে দেশের ও দেশের মানুষের ভাগ্যলিপিকেই বদলে দিয়েছে। একটি অন্ধকার সময় পার করে বস্তুত শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভাবনা ও স্বপ্নের পথে হাঁটতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ’

৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সামরিক সরকারের পতন করে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা থেকে সংসদীয় পদ্ধতির মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

পরবর্তীতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র ও বাধা উপেক্ষা করে তিনি ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচারপ্রক্রিয়া এখনও চলমান।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বৈরাচারী সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যুদ্ধোত্তর স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অভিভাবকহীন ও নেতৃত্বশূন্য অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় না পেয়ে অসহায় ও দিশাহারা অবস্থায় নিপতিত হয়। জাতি প্রত্যক্ষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের যেন বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে না হয়, সে লক্ষ্যে খুনি মোশতাক কর্তৃক ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। 

পরবর্তীতে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এই অধ্যাদেশকে সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দেয়। অধিকন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ খুনিদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করে। খুনিদের অনেককে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দিয়ে পুনর্বাসিত করা হয়। পঁচাত্তরপরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার যে প্রক্রিয়া এ দেশে শুরু হয়েছিল তার বিপরীতে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

এসব কাজ মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অঙ্গীকার পূরণে তিনি সবসময়ই থেকেছেন অটল ও আপসহীন। দেশকে এগিয়ে নিতে বেশ কিছু আইসিটি পার্ক, শতাধিক ইপিজেড নির্মাণের কাজ চলছে। বেশির ভাগ মহাসড়ককে ফোর লেন ও সিক্স লেনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এর সফল বাস্তবায়ন শেখ হাসিনা সরকারের একটি বিস্ময়কর সাফল্য। 

এছাড়া রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ তার সরকারের গৃহীত দশটি মেগা-প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পথে।

এগুলো সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরও অনেক বেশি গতি আসবে। বিগত দুই বছর করোনার প্রভাবে যখন সারাবিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখানে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সময়োচিত সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিশ্বকে অবাক করে বাংলাদেশ তখনও উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ স্থাপন করে তিনি বাংলাদেশকে প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপনের গৌরব এনে দিয়েছেন।

এর আগে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তিচুক্তির ব্যবস্থা নেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তিপদকে ভূষিত করে। ওই সরকারের সময় ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেন। 

পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের সাথে ৬৮ বছর ধরে বিদ্যমান সীমানা বিরোধ ও ছিটমহল সমস্যার নিষ্পত্তি করে। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বাংলাদেশের সাফল্য শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে। মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার এই মানবিক ভূমিকার জন্য ব্রিটিশ মিডিয়া ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বলে আখ্যায়িত করে। পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস সাময়িকীর করা তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ২০১৮ সালে ২৬তম স্থানে এবং ২০২০ সালের তালিকায় ৩৯তম স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস-এর বিশ্বের সবচেয়ে সৎ পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি। এছাড়া ২০১৪ সালে এশিয়ার প্রভাবশালী শীর্ষ ১০০ ব্যক্তির তালিকায় ২২তম অবস্থানে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ফরেন পলিসির বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায় ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ ক্যাটাগরিতে ১০ জনের মধ্যে নবম স্থানে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। 

তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রেরণা ও অর্জনের বাতিঘর; উন্নয়নের রোল মডেল। জন্মদিনে তার জন্য প্রার্থনা তিনি দীর্ঘায়ু লাভ করুন, একই সঙ্গে সুস্থতায় দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকবেন আগামী দিনেও।

লেখক : সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম

Link copied!