Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

হার না মানা যোদ্ধার নাম ‘শেখ হাসিনা’

অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া

অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া

অক্টোবর ৪, ২০২২, ০১:৪৬ এএম


হার না মানা যোদ্ধার নাম ‘শেখ হাসিনা’

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক জীবনে কারাভোগ করেছেন। ছিলেন গৃহবন্দিও। ঘাতকের গুলিতে পরিবারের সবাইকে হারিয়েছেন। তবুও দমে যাননি। থেমে যায়নি তার পথচলা। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে অবিচল থেকেছেন। সততা, প্রজ্ঞা মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ইস্পাত কঠিন হাতে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বমণ্ডলে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনা রেকর্ডগড়া চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দলকে একহাতে সামলাচ্ছেন। যেন ক্লান্তি নেই। দীর্ঘযাত্রার ক্লান্তিহীন এ যোদ্ধার কাঁধে এখনো অনেক দায়িত্ব। দেশের প্রায় সব মানুষই স্বীকার করেন, হার না মানা যোদ্ধার নামই ‘শেখ হাসিনা’।

যখনই দেশে কোনো সংকট দেখা দেয়, সবাই যখন অজানা আশঙ্কায় প্রহর গুনতে থাকে, তখনই একজন মানুষ অদম্য দৃঢ়তায় সেই আশঙ্কাকে দূর করে দেন, তিনিই শেখ হাসিনা। যার রাজনৈতিক নেতার চেয়েও বড় পরিচয় তিনি একজন যোদ্ধা, একজন অভিভাবক, একজন ক্রাইসিস ম্যানেজার ও ম্যাজিকেল লেডি। জন্মের পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কেটেছে শৈশব-কৈশোর। গণতন্ত্রের এক অপ্রতিরোধ্য কণ্ঠস্বর। গণতন্ত্রের এক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ছিয়াত্তরে পা দিলেন তিনি।

দীর্ঘ এ যাত্রায় তিনি বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। মৃত্যুও আসে-যায়; কিন্তু শেখ হাসিনা অবিচল, কিরণদীপ্ত। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, গতিশীল নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে শেখ হাসিনা শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেখ হাসিনা ব্যক্তিজীবনেও মমতাময়ী, দয়াশীল, নীতিবান ও ধার্মিক। অনেক এতিম, অসহায়, দুর্গত, দুর্ঘটনায় পতিত ও পথশিশুদের মায়ের দায়িত্ব নিয়ে তিনি মানবিকতার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

তিনি বারবার বলেছেন, ‘দারিদ্র্য নিরসনে আমার সরকার নিজস্ব উদ্ভাবিত সমাধানের ওপর বিশ্বাসী।’ সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা, সর্বোচ্চ উপযোগ গ্রহণ নিশ্চিত ও ভারসাম্যপূর্ণ বণ্টনে শেখ হাসিনার সফলতা যুগান্তকারী। শেখ হাসিনা দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রূপকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক, উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রতীক, বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক। তিনি একজন বাঙালি নারীর সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি, যাকে দেখলে একজন বাঙালি নারী কেমন, সেটি দেখা যায়।

যার সাথে কথা বললে, একজন বাঙালি মা কেমন সেটি জানা যায়, যার সাথে কথা বললে, একজন বাঙালি কন্যা ও বধূ কেমন সেটি বোঝা যায়, জানা যায়। তিনি অনন্য, অনবদ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতে গিয়েছিলেন তখন ভারতের কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তার সাথে দেখা করেছিলেন।

পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমার প্রেরণার উৎস। সবাইকে হারিয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষকে আপন করে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শুধু প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে নয়, সমগ্র পৃথিবীর সব রাজনৈতিক নেতার কাছে তিনি এক অনন্য উদাহরণ ও প্রেরণার উৎস।’

প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। তার সাহসিকতা, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলেই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু আজ উত্তাল পদ্মার বুকে জাতির গৌরবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনিই আমাদেরকে বিশ্বদরবারে আত্মবিশ্বাসের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস এনে দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের পথ ধরে কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বৃহৎ প্রকল্পের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।

দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি রূপকল্প ‘ভিশন-২০২১’-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘ভিশন-২০৪১’ কর্মসূচিসহ বাংলাদেশ ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান-২১০০) গ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদর্প বিচরণ দেশের সম্মান ও মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশে আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বমানবতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ জন্য তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ অভিধায় ভূষিত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ দারিদ্র্যবিমোচনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬-এ তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান ও ভূমিকা বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। মুজিববর্ষ, স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত নানাবিধ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অংশগ্রহণের ফলে এসব দেশের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক-সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সমপ্রসারিত হয়েছে।

করোনা মহামারির প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে সরকার করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা আরও উজ্জ্বল হয়েছে। মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ও এর ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি সারা বিশ্বকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ এ বৈশ্বিক সংকটও সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা ‘দিন বদলের সনদ রূপকল্প-২০২১’ উপস্থাপন করেছিলেন।

আর জনগণ নিরঙ্কুশভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা ক্ষমতার টানা এই এক যুগে দেশের উন্নয়নে যা করেছেন তা অতুলনীয়। অবশ্য জনবহুল এ দেশের সব সমস্যার সমাধান করতে এখনো সক্ষম হননি। যদিও অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে অগ্রগতির অভূতপূর্ব স্মারক বহন করছে বাংলাদেশ। ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি করে দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এই কাজটি করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের কর্মসূচি কিছু কাটছাঁট করেছেন।

কেউ গৃহহীন, ভিটাহীন থাকবে না— এটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। নদীভাঙনপ্রবণ এলাকায়ও সরকার এমন ঘর করে দিচ্ছে যেটি ভাঙনের আশঙ্কা দেখা গেলে দ্রুত সরিয়ে নেয়া যায়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, অন্ধকারে থাকবে না। আজ বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যেকের ঘর আলোকিত করার ঘোষণা দিয়েছিল। আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে সেটি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রামে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

তরুণ প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। প্রযুক্তি যেমনি বদলে দিয়েছে, তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে। অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে। এসব বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ও ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকার বিনাপয়সায় করোনার পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন দিয়েছে। অনেক উন্নত দেশও এটি পারেনি। বাজেটে আলাদা করে হাজার হাজার কোটি টাকা রেখে দিয়েছে। সরকার চেয়েছে যত টাকা লাগুক, যেখান থেকেই হোক ভ্যাকসিন আনব। দেশের মানুষকে দেবো। সেটি দিতে সক্ষম হয়েছে। ৭৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গেছে। অতীতের সরকারগুলোর আমলে আমাদের গ্রামগুলো বরাবরই উন্নয়ন ভাবনার বাইরে ছিল। আওয়ামী লীগই প্রথম গ্রামোন্নয়নকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে।

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সমপ্রসারণের অঙ্গীকার করে। আজ দেশের প্রায় সব গ্রামে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পল্লী এলাকায় ৬৬ হাজার ৭৫৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, তিন লাখ ৯৪ হাজার ব্রিজ-কালভার্ট, এক হাজার ৭৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, এক হাজার ২৫টি সাইক্লোন সেন্টার এবং ৩২৬টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও সমপ্রসারণ করা হয়েছে।’ ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৫৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চতুর্থ বা তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আরও ৮৮৭ কিলোমিটার মহাসড়ক চার ও তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সাল নাগাদ শেষ হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়েকে যুগপোযোগী এবং আধুনিক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমানে ১৩ হাজার ৩৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে। ঢাকার চারদিকে সার্কুলার রেললাইন স্থাপনের সমীক্ষার কাজ চলছে। ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪৫১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং এক হাজার ১৮১ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪২৮টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যমুনা নদীর উপর ৪.৮ কিলোমটির দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিমানবহরে ১২টি নতুন অত্যাধুনিক বোয়িং ও ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ সংযোজিত হয়েছে।

সংযোজিত হয়েছে তিনটি ড্যাশ-৮-৪০০ উড়োজাহাজ। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সারা দেশে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামীণ নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হয়। স্বাস্থ্যসেবার সমপ্রসারণ ও গুণগত মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু ২০১৯-২০ বছরে ৭২.৮ বছরে উন্নীত হয়েছে। পাঁচ বছর বয়সি শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৮ ও অনুর্ধ্ব এক বছর বয়সি শিশু মৃত্যুর হার ১৫-তে হ্রাস পেয়েছে। মাতৃমৃত্যু হার কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে।

লেখক : সদস্য, তথ্য ও গবেষণা-বিষয়ক উপকমিটি, আওয়ামী লীগ

Link copied!