Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি ইসলামী আন্দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২৩, ২০২১, ১২:৪০ পিএম


সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি ইসলামী আন্দোলনের

কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার জেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। 

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহম্মদ রেজাউল করীম এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘হাজার বছর ধরে হিন্দু-মুসলিমরা এই ভূখণ্ডে পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। একই রাস্তায়, একই মহল্লায় মসজিদ আর মন্দির বছরের পর বছর অবস্থান করছে। মানুষ যার যার ধর্ম পালন করছে। মাঝে মধ্যে ছোটখাটো বিবাদ হলেও এ বছরের মতো ব্যাপক বিবাদ স্মরণকালে ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘কুমিল্লার একটি মন্দিরে পবিত্র কুরআন পাওয়াকে কেন্দ্র করে এবং ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর স্ট্যাটাসকে ইস্যু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, এসব ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি করতে হবে।’

ঘটনা সম্পর্কে দলীয় পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সৈয়দ মোহম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের সাধারণ চরিত্র নয় । বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস এবং মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা এ ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না। এটি ইতিহাস বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত থেকে পরবর্তী প্রত্যেকটি ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার ছাপ অতি স্পষ্ট।

কুমিল্লার ঘটনার পরে জনরোষ তৈরি হওয়া খুবই স্বাভাবিক মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘বেসামরিক বাহিনীগুলোকে এ ধরনের গণবিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষিত করার কথা। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, ৫০ বছরের স্বাধীন একটি দেশের বেসামরিক বাহিনী গণবিক্ষোভ দমনে গুলি করার মতো চরম সিদ্ধান্ত সহজেই নিয়ে নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী দেশের একশ্রেণির মিডিয়া, সরকারি দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজ যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের সব ধরনের নীতি-নৈতিকতা ছাড়িয়ে গেছে। তাদের এই ধরনের আগবাড়ানো প্রতিক্রিয়ালশীলতায় এই ঘটনার অন্তরালে আন্তর্জাতিক রাজনীতির নোংরা কৌশলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।’

চরমোনাইয়ের পী্র সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার পরে বাংলাদেশের এক শ্রেণির মিডিয়া, রাজনৈতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজ যেভাবে ঘটনাকে কেবলমাত্র সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে ব্যাখ্যা করেছে, তা হতাশাজনক। দেশের ইতিহাস, বাঙালির চরিত্র ও ধর্মপ্রবণতা নিয়ে তাদের এমনতর ভুল ব্যাখ্যা হয়তো মূর্খতা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'

আমারসংবাদ/ইএফ