Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

সিটি নির্বাচনী প্রচারণার বিধি নিষেধ

মার্চ ২৮, ২০১৫, ০৭:৩৬ এএম


সিটি নির্বাচনী প্রচারণার বিধি নিষেধ

 

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি নিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮শে এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার শেষ হচ্ছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়। এরপরেই প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা। যা চলবে ২৬শে এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা সামসুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পরই প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রার্থীদের কাছ থেকে আচরণবিধি মানার বিষয়ে অঙ্গীকারনামা নেয়া হচ্ছে। ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণায় কোন বিধি-নিষেধ নেই। তবে প্রার্থীদের দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে মাইক ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

প্রতি ওয়ার্ডে প্রচারণার জন্য একটি ও পথসভার জন্য একটির বেশি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন না। পোস্টার নির্ধারিত মাপের ও সাদাকালো হতে হবে। মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া বা প্রার্থনারত অবস্থার কোন ছবি পোস্টারে ব্যবহার না করে সাধারণ ছবি রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও তারিখ থাকতে হবে। রাজনৈতিক দল, প্রতীক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি পোস্টারে ব্যবহার করা যাবে না। সিটি করপোরেশনের কোন স্থাপনা, যানবাহন বা দেয়ালে পোস্টার লাগানো ও প্রচারপত্র বিতরণ করা যাবে না। তবে টাঙানো যাবে। কোন বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। উস্কানিমূলক বক্তব্যের পাশাপাশি ধর্মীয় উপসানালয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা। দেয়াল লিখন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের ওপর থাকছে নিষেধাজ্ঞা। প্রচারণায় পথসভা ও ঘরোয়া সভা ছাড়া কোন জনসভা বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। সড়ক আটকে মঞ্চ তৈরি ও পথসভা করা যাবে না।

এছাড়া আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল, সড়কে নির্বাচনী ক্যাম্প, কোন গেইট ও তোরণ নির্মাণেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী ছাড়া কোন মেয়র প্রার্থী ভোটার সিøপ দিতে পারবেন না। প্রচারণায় নিজের প্রতীক বোঝাতে জীবন্ত কোন প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া নির্বাচনে ভোটার পিছু মেয়র প্রার্থী গড়ে সর্বোচ্চ ২ টাকা ও কাউন্সিলর প্রার্থী গড়ে সর্বোচ্চ ৬ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। কেউ আগাম প্রচারে নেমেছেন কি না তা দেখতে নির্বাচনী এলাকায় এরইমধ্যে নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। নির্দেশের পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যানার-পোস্টার না সরানোয় ইতোমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে এ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫৬ জন সম্ভাব্য প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ২১৩৩ জন প্রার্থী। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটিতে মেয়র-কাউন্সিলর পদে ২৯শে মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল, ১লা ও ২রা এপ্রিল বাছাই এবং ৯ই এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে। ভোট হবে ২৮শে এপ্রিল।