Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

চূড়ান্ত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি

ডিসেম্বর ১১, ২০১৪, ১০:৪১ এএম


চূড়ান্ত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি

   আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তি হতে যাচ্ছে। গত এক বছরে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা বিএনপি সমর্থিত ২০ দলীয় জোট তেমন কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। তবে দলটি এবার বছরপূর্তিতে সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনের দিকে যেতে চায় বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সর্বদলীয় ছাত্র কনভেনশনের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। এই কনভেনশনের মূল সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং ১৯৯০-এ এরশাদবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অন্যতম নেতা আমান উল্লাহ আমান৷ তিনি এখন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।

গত ৮ ডিসেম্বর আমানুল্লাহ আমান জানান, ঢাকার এই কনভেনশনে বর্তমান এবং ‘৯০-এর ছাত্র নেতারা উপস্থিত থাকবেন৷ সেই কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে সরকার পতনের রূপরেখা ঘোষণা করবেন বেগম খালেদা জিয়া৷ এছাড়া পরবর্তী আন্দোলনের দিক নির্দেশনাও দেবেন তিনি৷ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে আরো কিছু কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছে বিএনপি৷ তারা এর জন্য ইস্যু খুঁজছে।

ওপর দিকে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এরই মধ্যে বলেছেন সরকার যদি তেল, গ্যাস বা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে লাগাতার কর্মসূচি দেবে বিএনপি৷ এর মধ্যে হরতাল, অবরোধের মত বড় কর্মসুচিও থাকতে পারে৷ তার আগে এই ডিসেম্বরেই ঢাকা থেকে খুলনা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অভিমুখে তিনটি রোডমার্চ কর্মসূচি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ তবে তার দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷ ৫ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বিএনপি৷

এ জন্য ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা চলছে৷ এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি এই ডিসেম্বরেই নানা কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে৷ ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় ছাত্র কনভেনশনের আগে, ১৩ ডিসেম্বর, নারায়ণগঞ্জে মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে৷ সেখানে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন৷ এর আগে তিনি জেলায় জেলায় সফর করেছেন৷ ৫ জানুয়ারি আগেই যেকোনো সময় বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন খালেদা জিয়া৷ তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ সময় এলেই তারা মাঠে নামবেন৷

এদিকে, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে বিএনপি সারাদেশ থেকে দলের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরুহওয়া এই কার্যক্রম চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানা গেছে, দলের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম প্রতি তিন বছর পর পর হওয়ার কথা থাকলে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে।

 তবে এবার সারাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে এক হাজার সদস্য সংগ্রহর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিএনপি। সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন করতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে কেন্দ্র থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আন্দোলনের বিষয়ে দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, তারা মূলত দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন। তবে আন্দোলনের কারনে যদি গ্রেফতার হতে হয় এতেও তারা এবার আর পিছুটান দিবেনা। গণতন্ত্র উদ্ধার করেই তারা ঘরে ফিরবে বলে জানায়।