Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

পরির্বতনের প্রতিশ্রুতিতে প্রার্থীরা

এপ্রিল ১৬, ২০১৫, ০৮:১৫ এএম


পরির্বতনের প্রতিশ্রুতিতে প্রার্থীরা

 বাংলাদেশের রাজনীতিকদের হওয়া উচিত দেশ প্রেমিক। দেশের জনগণ দেশ প্রেমিক কিন্তু অপরদিকে যাদের হাতে দেশের সকল চাবিকাঠি তারা কতটুকু দেশ প্রেমিক তা তাদের অন্তরকে প্রশ্ন করলেই পাওয়া যাবে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ মেয়র প্রার্থী এ এস এম আকরাম বলেন একজন দেশ প্রেমিক হলে কি হয়? একজন দেশ প্রেমিক সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে। তাই একজন রাজনীতিবীদকে অবশ্যই দেশ প্রেমিক হতে হবে। শুধু নিজের ক্যারিয়ার আর অর্থ উপার্জনের জন্য রাজনীতিবীদ নয়। আকরাম বলেন, আমি ইতোমধ্যে তিনবার সংসদ নির্বাচন করেছি, একবার কাউন্সিলর নির্বাচন করেছি আর এবার দক্ষিণের মেয়র নির্বাচন করছি। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন জনগণকেই করতে হবে। তারা যদি তাদের মূল্যবান ভোটটি বুঝে শুনে না দেয় তবে এর দায় তাদেরই নিতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতি একটি ভয়ানক নেশা। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। সাধারণ মানুষের জন্য আমার মন কাদে তাই এবার দক্ষিণ সিটি বাসীর জন্য ক্রিকেটব্যাট প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি।। আবাসন খাতে আমার পরিকল্পনা অনেক গভীর। সাধারণ মানুষের জন্য আমি আবাসন সমস্যাকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখছি। তিনি বলেন, রাজনীতি এমন এক নেশা যার কারণে আমি আমার অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলেছি। সর্বশেষ দুটি মার্কেটের দোকান বিক্রি করে ফেলেছি তবু আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, মিডিয়া জাতির বিবেকের কাজ করে। কিন্তু সেই মিডিয়াই এখন দুয়েক প্রার্থীর প্রচারণা ছাড়া আর কারো সংবাদ প্রচার করে না।

 ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে স্থানীয় কদমতলা স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যানে বিগত দিনে বহু কাজ করেছে মন্তব্য করে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমত তাকির বাবু বলেন, আমি এলাকার উন্নয়নে মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। পরিবর্তন আনতে চাই। ওয়াইফাই জোন তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতিতে তিনি বলেন, তরুণদের তথ্য প্রযুক্তির সুযোগ করে দিলে মেধা বিকাশ হবে। তাকির বাবু বলেন, রাজনীতি আমার নেশার মত হয়ে গেছে। এলাকার উন্নয়ন, মাদক মুক্ত সমাজ আমার নেশার প্রতিচ্ছবি। তিনি বলেন, সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়তে আমি প্রস্তুত। আশা করি জনগণ আমাকে সেই সুযোগ দিবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে একটি পক্ষ। আমার নেতাকর্মীদের ভয়ভীতিসহ ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন আমি শঙ্কায় আছি যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব আদো হবে তো? তিনি বলেন, আমি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনী চাচ্ছি। উন্নয়নের স্লোগান নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ১১ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সমর্থক প্রার্থী সেলিম আহমেদ ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তরুণদের মেধাশক্তি বৃদ্ধিতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। সেলিম বলেন, আমি তরুণ, তরুণদের কল্যানে আমার পরিকল্পনা রয়েছে। নারী উন্নয়নে সামাজিক দায়বদ্ধতা সকলের। সমাজের সবাইকে নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। আমি যেখানে যাচ্ছি ভোটাররা আমাকে সমর্থন দিচ্ছে। আশাকরি জনগণ আমাকে জয়ী করবে।

১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরেক প্রার্থী এবিএম হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি সকলের জন্য পরিকল্পীত পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়তে বদ্ধ পরিকর। মাদককে চিরতরে নির্মূল করতে সকলকে নিয়ই কাজ করবো। যুব সমাজের উন্নয়ন আমার অন্যতম টার্গেট। ৪নং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ফারহানা ইসলাম (ডলি) গ্লাস প্রতীক নিয়ে নারী উন্নয়নের স্লোগানে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। ডলি বলেন, আমি এলাকার মাদক প্রতিরোধে সকলের সহযোগীতায় কমিটি গঠন করবো। অবহেলিত নারীদের সাহায্যে সবসময় প্রস্তুত আছি এবং থাকবো। শিশুদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করবো। ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আকরাম উজ্জামান (টিটন) জানান, তিনি এলাকায় নির্বাচনের প্রচার চালাতে পারছে না। আঞ্চলিক সমস্যায় এখন তিনি শঙ্কৃত। তাই করাত প্রতীক নিয়ে অনেকটা আড়ালেই আছেন এই প্রার্থী। বিএনপি সমর্থীত ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, যদি সরকার ও নির্বাচন কমিশন চায় সুষ্ঠু নির্বাচন হোক তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়া সম্ভব। দেলোয়ার বলেন, আমি একজন সফল ব্যবসায়ী তাই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাদের প্রতিনিধি হয়ে সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই। আমার প্রথম কাজ হবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। মাদক প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। তিনি বলেন, আমি স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমার বিরুদ্ধে মামলা কেন? একটি সাধারণ ডায়েরী পর্যন্ত হয়নি। আশা করি সকলের দোয়া ও সমর্থনে আমি নির্বাচিত হব।