Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

অবশেষে মোদির সঙ্গে খালেদার বৈঠক

জুন ৭, ২০১৫, ১১:০৪ এএম


অবশেষে মোদির সঙ্গে খালেদার বৈঠক

 সব সংশয় পিছনে ফেলে অবশেষে বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে বিকেল পৌনে ৪টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে পৌঁছান খালেদা জিয়া। বিএনপি প্রধানের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন।

দলীয় সূত্র বলছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি- চলমান পরিস্থিতির ওপর ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দেবেন বেগম জিয়া। বিএনপির প্রতি সরকারের ‘দমনমূলক’ আচরণ, দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, খুন, হয়রানি এবং ওই নির্বাচনে ভারতের অবস্থান নিয়ে কথা বলবেন তিনি। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্যও মোদির হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে ভারতের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে অবস্থান নিতে মোদি সরকারকে অনুরোধ করবেন বিএনপি নেত্রী।

এ ছাড়া তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি যাতে দ্রুত সমাধান হয় সে বিষয়েও মোদিকে অনুরোধ করবেন তিনি। পাশাপাশি, দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সীমান্ত চুক্তিসহ অন্যান্য চুক্তি সই হওয়ায় মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানাবেন বিএনপি প্রধান। বৈঠকে বিএনপির একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, খুন-গুম ও গ্রেফতার-হয়রানির বিষয়গুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন খালেদা জিয়া। ভারতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা দলের যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রসঙ্গটিও মোদি-খালেদা বৈঠকে উঠে আসার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় সূত্র।

এদিকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল কোনো পদে বা বিরোধী দলে না থাকায় মোদির সফরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সময় থাকবে কি না- তা নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠক হওয়ায় খুশি দলটির নেতা-কর্মীরা। তাদের মতে, এই বৈঠক বিএনপির রাজনৈতিক টার্নিংপয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি হরতালের অজুহাতে বাতিল করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে ভুল করেছিলেন তা শোধরাতে চান তিনি। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করতে সব ধরনের প্রতিশ্রুতিও দেবেন বিএনপি প্রধান।