প্রিন্ট সংস্করণ॥মো. শাহ আলম, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
জানুয়ারি ১১, ২০১৯, ০৬:০১ এএম
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পরই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার নামে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে সর্ব সাধারণের মধ্যে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও সরব হয়ে উঠেছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করেই প্রায় পাঁচশ উপজেলায় নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রদে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে চলেছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঃ মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান, পৌর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ফরিদ আহমেদ, নব্বই দশকের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. মতিয়ার রহমান মতি, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ শমসের, মোবারকগঞ্জ আখচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু বলেন, দল যাকেই মনোনয়ন দিবে আমি তার পক্ষেই কাজ করবো। আমার কোন আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তবে নির্বাচন করবো। দল যে সিদ্ধান্ত দেন সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করবো। আমি আজীবন আ.লীগের জন্য কাজ করে চলেছি। দল যদি আমার কথা চিন্তা করে তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই। এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আলোচনা এখন পথে-ঘাটে ও চায়ের দোকানে। কে হবেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান? সবাই এখন সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছেন।