Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

জন্মশতবার্ষিকীতে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৭, ২০২১, ১০:৪০ এএম


জন্মশতবার্ষিকীতে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন

আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বাঙালীর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালীর হৃদয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বেঁচে থাকবেন। 

বুধবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ফরিদপুর রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নামকরণ করেন। 

তিনি আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুমূখি কর্মপরিপল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ৭৫’এ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেঁলে দেয়। নিষিদ্ধ করেছিল বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও তার সকল স্মৃতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের কোনো পরিকল্পনাই সফল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সকল যড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। 

এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রম করছেন। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন। এই সংগ্রামে আমাদের সকলকে সামিল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। আজকের এই  মাহেন্দ্রক্ষণে এটাই হবে আমাদের সকলের প্রতিশ্রুতি। 

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে আব্দুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একদিন কথা হয়। তিনি অত্যন্ত আবেগঘন মন নিয়ে বলেছিলেন- ফরিদপুরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নামে কোন কিছুই করে নাই। সেদিন নেত্রীর কথা শোনার পর আমি আমার চোখের পানি ফেলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম- কিভাবে এমন একটা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। বঙ্গবন্ধুর নাম সারা বাংলাদেশের ঘরে-প্রান্তরে, পথে-ঘাটে ও বাজারে উচ্চারিত হবে। আমি যখন শুনেছিলাম- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বঙ্গবন্ধুর নামে করা যায় কি না। আমি একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে অতি সঙ্গোপনে বৈঠক করি। বৈঠকে আমি তাদেরকে সেদিন বলেছিলাম- আপনারা এই নামকে প্রস্তাবে নিয়ে আসেন, আপনাদের একাডেমিক কাউন্সিল থেকে পাশ করানো এবং শেখ হাসিনার চূড়ান্ত অনুমোদন এনে দেয়ার দায়িত্ব আমার। তখন তারা সেদিন একাডেমিক কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুর নামে আজকের মেডিকেল কলেজের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিলেন। আজ থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের নাম হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে, চলা- ফেরায় ও আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুকে জীবন্ত রাখতে হবে। আর সেই জন্যই বাংলাদেশের এই ছাত্রসমাজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ,  যুবলীগের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ আমাদের এই পরিবারের সকলে মিলে আমরা সেই ১০১ তম জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর নামকে আমাদের হৃদয়ে এমনভাবে স্থান করে নেব; যাতে তাকে আর কেউ কোনোদিন কেড়ে নিতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাষ্টার। ফরিদপুর পৌর সভার মেয়র অমিতাব বোস। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম আহমেদ।

আমারসংবাদ/আরআই/জেডআই