Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচন: আলোচনায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নিখিল

আসাদুজ্জামান আজম

মে ২৬, ২০২১, ০২:২০ পিএম


ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচন: আলোচনায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নিখিল

প্রয়াত সাংসদ আসলামুল হকের শূন্য হওয়া ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী জুলাই মাসে। ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বর গাবতলি ও মিরপুরের অধিকাংশ নিয়ে গঠিত আসনটির নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় মাঠের রাজনীতি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে, আসনটি হতে সাংসদ বনে যেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রার্থীদের সমর্থক ও অনুসারীরা নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতার প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। তুলে ধরছেন পছন্দের প্রার্থীর রাজনৈতিক ত্যাগ ও গ্রহণযোগ্যতা। 

সূত্র মতে, আসনটি হতে সাংসদ হওয়ার দৌড়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। এসব প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। প্রায় ৩০ বছর ধরে মিরপুরের রাজনীতিতে এ যুবনেতার রয়েছে প্রভাব। বিশেষ করে-গোটা মিরপুর অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী (মসজিদের ইমাম, হিজড়া, শ্রমিক শ্রেনী, প্রতিবন্ধি, অন্ধ) মাঝে তিনি বেশ জনপ্রিয়। মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয়রা তাকে আপন করে নিয়েছেন। 

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরাকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পেতে চান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গোটা নির্বাচনি এলাকায় তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। 

তবে প্রার্থীতা নিয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, নেতাকর্মীরা চাইতে পারেন, আমার এ বিষয়ে এখনো কথা বলার সময় আসেনি। আমাদের অভিভাবক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিবেন, সে অনুযায়ী কাজ করবো। এর আগে প্রার্থীতা নিয়ে কোন কথা বলতে পারি না। 

[media type="image" fid="125558" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

সূত্র মতে, মাইনুল হোসেন খান নিখিল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরীক্ষিত ও  ত্যাগী নেতা। প্রায় ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত-আস্থাভাজন এবং কর্মী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দু:সময়ে, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের জ্বালাও পোড়ানো আন্দোলনে, এক-এগোরাসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সোচ্চার হয়ে মাঠ ময়দানে কাঁপিয়েছিলেন। তিনি বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে বহুবার কারা নির্যাতনের শিকার হন। এখনো পুরো শরীরের আঘাতের চিহৃ নিয়ে রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। নিজেকে জনসাধারণের কাছে সততার মূর্ত প্রতীক ও ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন। মানুষের সাথে তাঁর সৌহাদ্যপূর্ণ ব্যবহারের কথা সবারই জানা।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমেনর সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে আবিভূত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে ভাইরাসটি প্রার্দুভাব শুরুর পর হতেই জীবন ঝুঁকি নিয়ে মানবিক নেতা হিসেবে মাঠে রয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আসার পর যুবলীগের প্রতিটি মানবিক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন  এ যুব নেতা। গত প্রায় দেড় বছরে করোনা সংকটে প্রতিদিনই রাজধানী ও বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের মাঝে সহায়তা সামগ্রি বিতরণ করেছেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক। তার দক্ষ পরিচালনায় কেন্দ্রীয়, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগরসহ সব মহানগর, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড যুবলীগের প্রতিটি ইউনিটর অসহায় মানুষকে সহায়তা করে আসছে। করোনাকালীন সময়ে সারাদেশে সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি মিরপুরে বাড়তি নজর ছিল তার। করোনা ভাইরাসের শুরু হতেই মিরপুর এলাকায় প্রতিনিয়ত খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করেছেন তিনি। করোনার কারণে মিরপুর এলাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রি তুলে দেয়া হয়। শ্রমজীবি মানুষ, রিক্সা শ্রমিক, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, গার্মেন্টস শ্রমিক, বিভিন্ন কারখানা শ্রমিক, রিকসা ভ্যান চালক, প্রতিবন্ধি, অন্ধ, বেদে সম্প্রদায়সহ অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, আলু, লবন, সবজি, দুধ), নগদ অর্থ মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন। মানবিক কাজের মাধ্যমে গোটা মিরপুর অঞ্চলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। যার কারণে তাকে ১৪ আসনে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। 

স্থানীয়রা জানায়, কল্যাণমূলক রাজনীতিতে নিখিল সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন। তিনি সব সবময় অসহায় মানুষের পাশে থাকেন, যে কোন প্রয়োজনে তাকে পাওয়া যায়। তিনি এমপি হলে গাবতলি ও মিরপুরের মানুষ আরো ভালো থাকবে। 

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, রাজনীতির সুতিকাগার ঢাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন ঢাকা-১৪। ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার গাবতলি ও মিরপুরের অধিকাংশ আসনটির অন্তর্ভুক্ত। যার কারণে আসনটির দলীয় প্রতিনিধি নির্ধারণে বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব দেয়া হবে। বিশেষ করে প্রার্থীর মাঠের রাজনীতিতে সাংগঠনিক দক্ষতা এবং পরিচ্ছন্নতা বিবেচনায় আনা হবে।

আমারসংবাদ/জেআই