Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

যেকোনো মুহূর্তে ভোটারবিহীন সরকারের যবনিকাপাত ঘটবে

নিজস্ব প্রতিনিধি

জুন ২, ২০২১, ০১:২০ পিএম


যেকোনো মুহূর্তে ভোটারবিহীন সরকারের যবনিকাপাত ঘটবে

সরকার দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেকোনো মুহূর্তে ভোটারবিহীন সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের যবনিকাপাত ঘটবে।

বুধবার (২ জুন) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলার পাশাপাশি লাঠিচার্জ করা হয়। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৩১ মে শেরপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তাৎক্ষণিক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। পুলিশ মিছিল থেকে তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রিয়াজুল ইসলাম, রতন ও মিরপুর থানা শাখার নেতা আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্ত্র করে এবং বেধড়ক লাঠিচার্জের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, মিরপুর থানা শাখার আহবায়ক ফিরোজ আহমেদ, কাফরুল থানা শাখার আহবায়ক ইকবাল হোসেন, নিউমার্কেট থানা শাখার আহবায়ক খান মনির, কদমতলী থানা শাখার যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল্লাহ, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, নিউমার্কেট থানা শাখার সদস্য ইকবাল হোসেন, মো. শিপন এবং তেজগাঁও থানা শাখার নেতা সাইফুর রহমান সোহেলকে গুরুতর আহত করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩১ মে শেরপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল শেষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি শওকত হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পাপন মাহমুদ, শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হৃদয় হাসান, জেলা যুবদলের দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম বাবু, ছাত্রদল কর্মী মেহেদী ও মানিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, সরকার দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও শেরপুর জেলা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও গ্রেফতার সেটিরই ধারাবাহিকতা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিরোধী দল, মত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করে দেশে ফ্যাসিবাদী রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। তবে জনগণ আওয়ামী বর্বর শাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে এখন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ। যেকোনো মুহূর্তে ভোটারবিহীন সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের যবনিকাপাত ঘটবে।

এদিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জজ কোর্টে আয়োজিত আরেক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য সরকার কিছুই করছে না।

ফখরুল বলেন, করোনার এই দুঃসময়ে অর্থনীতিকে সচল রাখতে সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার তা হলো দিন আনে দিন খায় মানুষের জন্য সহায়তা। পত্র-পত্রিকায় বেরিয়েছে যে, করোনা মহামারির ফলে দরিদ্র হয়ে গেছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে এসেছে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। আগের দরিদ্র তিন কোটি। তার মানে প্রায় ৬ কোটি মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে। এই মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে, অবশ্যই তাদের (দরিদ্রদের) কাছে টাকা পাঠাতে হবে।