Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

‘হাবিব আমায় ১২ টা ৪৩ মিনিটে ফোন দেয়, ধরতে পারিনি আফসোস থেকে যাবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৯, ২০২২, ১০:১০ এএম


‘হাবিব আমায় ১২ টা ৪৩ মিনিটে ফোন দেয়, ধরতে পারিনি আফসোস থেকে যাবে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের জানাযা পূর্বে বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, আমার বড় ধরনের আফসোস থেকে যাবে। 

গতকাল রাত বারোটা তেতাল্লিশ মিনিটে হাবিবুর রহমান আমায় ফোন দিয়েছিল, কিন্তু আমি সেই ফোন ধরতে পারিনি। 

আমাকে এ বিষয়টি অনেক কষ্ট দেবে। তাঁর শেষ ফোনটা আমি রিসিভ করতে পারিনি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পরিবারের একজন সদস্য তাঁর ত্যাগ ও ভূমিকা অবশ্যই দলে থাকবে। আমি হাবিবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি। 

এছাড়া জানাযা পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাবিবের জানাযায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ভক্তরা।

এর আগে, বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হাবিবুরের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান গতকাল রাত ২টার সময় হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন।

হাবীব রহমান সময়ের আলোতে আওয়ামী লীগ বিটে কর্মরত ছিলেন। তার সম্পূর্ণ নাম হাবীবুর রহমান। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শশীদল ইউনিয়নের মানুরা গ্রামের অধিবাসী হাবীব। তার বাবা প্যারা মিয়া পেশায় একজন কৃষক। তার মায়ের নাম পিয়ার জাহান। 

পরিবারে রয়েছে এক ভাই ও তিন বোন। হাবিব বাবা মায়ের বড় সন্তান এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ হতে ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর  সম্পন্ন করে বেশ কিছু গণমাধ্যমে কাজ করেন তিনি। 

শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগ বিটেই সাংবাদিকতার শুরু। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বেশ কয়েকবার নির্বাচন করেন তিনি। প্রতিবারই বিজয়ী ছিলেন তিনি। প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য এবং পরবর্তী নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হন তিনি।

আমারসংবাদ/এআই/এমএস