Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

‘ইসি গঠন আইন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে লিপ্ত বিএনপি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম


‘ইসি গঠন আইন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে লিপ্ত বিএনপি’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতির মাঠে পরাজিত বিএনপি এখন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা বলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও লাগাতার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশের জন্য এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, এই আইনকে শুধু নয়, তারা বরাবরের মতো নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ ও বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন নাটক মঞ্চায়ন করেও বিএনপির মরা গাঙ্গের খরা কাটেনি। তাই তারা উদ্ভ্রান্তের মতো প্রলাপ বকতে শুরু করেছে।

বিএনপি নেতৃবৃন্দকে মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তিকর মন্তব্য পরিহার করে দায়িত্বশীল আচরণ ও বক্তব্য প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রণয়নের দাবি সর্বমহল থেকে উঠে এসেছে। দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২’ নামে আইনের একটি খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিয়েছে। এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশিল সমাজের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, একই সাথে এই আইন পাসের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জটিলতা নিরসনে সমাধানের স্থায়ী পথ উন্মুক্ত হতে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপিত হয়েছে। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী সংসদে উত্থাপিত বিলটি আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সুপারিশ আকারে সংসদের বৈঠকে উঠবে এবং সংসদীয় বিধান অনুযায়ী সংসদে আলোচনার মধ্য দিয়ে আইনটি চূড়ান্ত হবে। এটাই আইন প্রণয়নের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন সম্পর্কিত বিলটির উপর জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল রাজনৈতিক দল আলোচনা করবেন এবং নিজেদের মতামত ব্যক্ত করবেন। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের ক্ষমতা মহান জাতীয় সংসদের উপর ন্যস্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, সে মোতাবেক সংসদে উত্থাপিত বিলটি যথাযথ প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক রীতি-নীতির মধ্য দিয়েই পাস হবে বলে আশা রাখে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ উত্থাপিত আইনটি সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে না জেনে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিপ্রায়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা গণতান্ত্রিক কাঠামো ও আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি বিএনপির কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিক ও অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করে যাদের নেতা নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করতে পারে আইনি কাঠামোর প্রতি তাদের আস্থা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। সংবিধান ও আইন লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে যাদের জন্ম তাদের কাছে যে কোনো আইনি কাঠামোই তামাশা মনে হবে। কারফিউ মার্কা গণতন্ত্রের যে প্রহসনের বীজ তাদের অস্থিমজ্জায় প্রথিত তা থেকে এখনো তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি।

আমারসংবাদ/এমএস