Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

জনগণের ওপর বিএনপির কোন আস্থা নেই: হানিফ

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১৫, ২০২২, ০৭:১৩ পিএম


জনগণের ওপর বিএনপির কোন আস্থা নেই: হানিফ

জনগণের ওপর বিএনপির কোন আস্থা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে এখন শেখ হাসিনার জয়গান করছেন জনগণ। 

অধির আগ্রহে দেশবাসী অপেক্ষা করছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য। নৌকার বিজয় কারো পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয়। 

শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টন (জামাতখানা) ঢাকা মহানগর দক্ষিনের অর্ন্তগত পল্টন থানা ও ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। 

যারা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিলেন, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। 

তিনি বলেন, তথাকথিত আন্দোলনে নামে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বিএনপি। তাদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক, খুঁজে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করা হবে।

বিএনপির সন্ত্রাসীরা এতদিন ঘাপটি মেরে ছিল। এখন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কোনো লাভ হবে না। বিএনপির ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে জানান মাহাবুবুল আলম হানিফ।

বিএনপি দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংসের মূল হোতা বলে উল্লেখ করে মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুলরা অসুর বধের কথা বলছেন, আসলে অসুর তো তারাই।

‘১০ ডিসেম্বর সরকার চলবে বিএনপির কথায়’ এমন বক্তব্যে দিয়ে বিএনপি নেতারা বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করতে চাইছেন। বিজয়ের মাসকে টার্গেট করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছেন।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ বিএনপির কোনো কথাই বিশ্বাস করেন না। ১০ ডিসেম্বর রাজপথে নামা তো দূরের কথা, তারা বাসা থেকেই বের হবেন না। 

তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণ আর বিএনপিকে ক্ষমতায় বসতে দেবে না। তাই একবার বলে রোজার ঈদের পরে, আরেকবার বলে কুরবানি ঈদের পরে, এখন আবার তারিখ দিয়েছে ডিসেম্বর মাস। 

এর মূল কারণ, বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করার জন্যই ১০ ডিসেম্বরকে টার্গেট করেছে। কারণ এই মাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা আবার সেই পাকিস্তানি পরাজিত শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতেই আবার বাংলার স্বাধীনতার বিজয়ের মাসকেই বেছে নিয়েছে। কিন্তু বাংলার মাটিতে তা আর হতে দেয়া হবে না।

পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর এনামুল হক আবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তবা জামান পপি’র সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। 

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি আবদুস ছাত্তার মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কাজী মোর্শেদ কামাল, কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেস্টা কামাল চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তাহমিনা সুলতানা।

টিএইচ

Link copied!