Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপি সমাবেশ না করার কারন জানালেন তথ্যমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০২:৫৬ পিএম


সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপি সমাবেশ না করার কারন জানালেন তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নাকি ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে। নয়াপল্টনের সামনে মানুষ হবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার। সেটি তারা রাস্তায় করতে চায়। আরেকটি কারণ হচ্ছে, রাস্তায় করলে গাড়ি ঘোড়া ভাংচুর করা যাবে, অগ্নি সংযোগ করা যাবে, শহরে যানজট সৃষ্টি করা যাবে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার দিন ১০ ডিসেম্বর কেন বিএনপির সমাবেশ‍‍` শীর্ষক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। এদিন সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়। যাদেরকে পরে হত্যা করা হয়। এই ১০ ডিসেম্বরকে কেন বিএনপি সমাবেশের জন্য বেছে নিল সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

এ প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ, যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অনেকে এখন বিএনপির নেতা। এ দিনটাই তারা বেছে নিয়েছে কারণ তারা নিজেরাই হত্যাকারী। তাদের সঙ্গে আবার নতুন করে সংহতি প্রকাশ করার জন্যই এ দিনটি বেছে নিয়েছে বিএনপি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কয়দিন আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। যে দলের মহাসচিব পাকিস্তানই ভালো ছিল এ কথা বলে তার আসলে এদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবও এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। সরকার নমনীয় রয়েছে। আপনারা যাতে সমগ্র বাংলাদেশে সমাবেশ করতে পারেন সে বিষয়ে সরকার সার্বিক সহযোগিতা করেছে। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কৃষকলীগের সহ সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দ সৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, শহীদ বুদ্ধিজীবি ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, অভিনেত্রী রোজিনা, তানভিন সুইটি, অরুণা বিশ্বাস এবং শমী কায়সার। মানববন্ধন পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।

টিএইচ

Link copied!