জনগণ না চাইলে বিদায় নেব: কাদের

জনগণ চাইলে আমরা জয়ী হব, না হলে ২০০১ সালের মতো বিদায় নেব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার উত্তরার আজমপুর এলাকায় আমিন মার্কেটের সামনে ‘বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে সমাবেশ ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এটা বিএনপির পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কাদের বলেন, নির্বাচনে জিতলেও মানুষের পাশে আছি, হারলেও আছি। বন্দুকের নল দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকার দল আওয়ামী লীগ নয়। আওয়ামী লীগ পালাবার দল নয়। নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথ ছাড়বে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন কথার রাজা। মির্জা ফখরুলের কাজ নেই শুধু কথা। আমরা কাজ করছি আর বাধ্য হয়ে তাদের কথার জবাব দিচ্ছি। তারা একতরফা মিথ্যাচার করবে, বিষোদগার করবে এবং যেটা তারা করে আসছে, আমরা চুপচাপ বসে থাকব? আমাদের অবশ্যই জবাব দিতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডাক দিলেই চলে আসবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, রাজপথ আমরা ছাড়ব না আগামী নির্বাচন পর্যন্ত।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশের সাত দিন আগেই সমাবেশস্থলে শুয়ে পড়েন। এসব এখন কোথায় গেল? কোথায় গেল গণজোয়ার?

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী, ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান প্রমুখ।

টিএইচ