Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

আওয়ামী লীগে ভুঁইফোঁড় সংগঠন বন্ধ হোক এদের কার্যক্রম

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ০৭:৫৫ পিএম


আওয়ামী লীগে ভুঁইফোঁড় সংগঠন বন্ধ হোক এদের কার্যক্রম

শেষ পর্যন্ত ভুঁইফোঁড় সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংগঠনটি তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করেছিল।

নামের সাথে বাঙালিদের গর্ভের মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি সংযোজিত থাকলেও তারা বৈধ বা আওয়ামী লীগের অনুমোদিত কোনো সংগঠন নয়। অন্যদিকে ওই সময় কার্যালয়ের ভেতর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সভা চলছিল।

 এ জন্য সকালে কেন্দ্রীয় নেতারা এসেই দেখেন কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ। মাইক লাগিয়ে সেখানে বক্তৃতা চলছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে এলে দলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ফলে মঞ্চ গুটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেতারা সে স্থান ত্যাগ করেন।

সরকারি দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযোদ্ধা ব্যবহার করে অসংখ্য ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে উঠেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামেও নানা সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনের নেতারা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা কথাটি ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে চাঁদাবাজি করে নানা তদবির বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে আওয়ামী লীগের নেতারা দৃশ্যত তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা উপকমিটির বহিষ্কৃত সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ সংগঠনের কারণে এবং অবৈধ আইপি টেলিভিশন সমপ্রচারের নামে চাঁদাবাজির অপরাধে গ্রেপ্তার হলে টনক নড়ে সবার। দলের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। ফলে অনেক ভুঁইফোঁড় সংগঠনের নেতারা আত্মগোপন করেন। বন্ধ হয়ে যায় এসব সংগঠনের তৎপরতা।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করতে এলে বাধাপ্রাপ্ত হন সংগঠনের নেতারা।

পরে সম্পাদক মণ্ডলীর সভা শুরুর আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম, এক ভুঁইফোঁড় দোকান প্রতিষ্ঠালগ্নের কী আয়োজন করেছে- আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু লীগ আর আওয়ামী যখন যুক্ত হয়, তখন এখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। এখানে আমাদের ভাবমূর্তির সঙ্গে বিষয়টি এসে যায়। কারণ এসব দোকান অনেকে খুলে থাকে চাঁদাবাজির জন্য, আসলে এসব চাঁদাবাজির প্রতিষ্ঠান।’

দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় ভুয়া সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধের এ উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ জাতীয় আরও যে সংগঠনগুলো রয়েছে, তাদের কার্যক্রম আইনের আওতায় আনা জরুরি। যদিও এমন ঘোষণা দলের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।