Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

রাজধানীতে বসবাসযোগ্যতা নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ০৬:২০ পিএম


 রাজধানীতে বসবাসযোগ্যতা নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে

বিশ্বের ৬০টি শহরের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সমপ্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হচ্ছে বিশ্বে নিরাপদ শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান ৫৪তম।

তাদের তৈরি সূচক অনুযায়ী ১০০ পয়েন্টের মধ্যে সব সূচকের গড় মিলিয়ে ঢাকা পেয়েছে ৪৮.৯০ পয়েন্ট। এর মধ্যে ঢাকা স্বাস্থ্য নিরাপত্তার সূচকে পেয়েছে ৫০.৯০, অবকাঠামোতে ৪৯.৬০, ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় ৪৬.৬০ ও পরিবেশগত নিরাপত্তায় ৫৮.২০ পয়েন্ট।

অন্য সূচকের তুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তায় ঢাকার সূচক সবচেয়ে কম। এতে পেয়েছে মাত্র ৩৯ পয়েন্ট। ডিজিটাল নিরাপত্তায় ৬০ দেশের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ৫৬তম। ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, অবকাঠামো, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পরিবেশগত নিরাপত্তা বিবেচনা করে এই সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালে প্রকাশিত নিরাপদ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিলো ৫৮তম। ২০১৯ সালের সূচকে অবস্থান দাঁড়ায় ৫৬তম। সেই দিক থেকে প্রতিবার ধারাবাহিকভাবে দুই ধাপ করে এগিয়েছে ঢাকা মহানগরী। কিন্তু এই অগ্রগতি একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়।রাজধানী ঢাকায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার মতো স্থান একবারে নেই বললেই চলে। রাস্তায় যানজট।

ঢাকার ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানপাট আর নির্মাণ সামগ্রীর স্তূপ এমনভাবে রাখা হয়, বিপরীতমুখী দুজন মানুষ হেঁটে পার হতে গেলেই সমস্যায় পড়তে হয়। আর এভাবেই রাজধানী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে দিনের পর দিন। পরিবেশ দূষণে রাজধানী এখন অতীতের যেকোনো রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শব্দদূষণ।

ঢাকা শহর ময়লা-আবর্জনা, ধুলাবালিতে ডুবে আছে। এখন আর এই ধুলাবালি, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। পরিবেশ দূষণের কারণে সংক্রামক রোগের হার বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ঢাকার এই অবস্থা এক দিনে হয়নি। বহু আগে থেকেই পরিকল্পনাহীনভাবে বেড়েছে ঢাকা শহর।

বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর ৬০ শতাংশ আবাসনই গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। কিন্তু এখনো ঢাকাকে তিলোত্তমা করে গড়ে তোলা সম্ভব। একটি বড় পরিকল্পনা নিয়ে এই কাজটি করতে হবে। সেই সঙ্গে নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও মনযোগী হতে হবে।