Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

'পুলিশই সাধারণ জনগণের প্রধান ভরসা'

জানুয়ারি ২৭, ২০১৫, ০৫:৪০ এএম


'পুলিশই সাধারণ জনগণের প্রধান ভরসা'


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রদান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষা করা পুলিশের পবিত্র দায়িত্ব। পুলিশই সাধারণ জনগণের প্রধান ভরসা। এ কারণে আমরা যখনই সরকারে এসেছি পুলিশকে জনবান্ধব, পেশাদার ও আধুনিক বাহিনীতে পরিণত করতে এর ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন করেছি।

 মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে বিার্ষিক পুলিশ সপ্তাহ-২০১৫-এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছান এবং পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে তিনি পদকপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাজ পরিয়ে দেন।

প্রধানমন্ত্রী ভাষণের শুরুতেই সুশৃঙ্খল ও মনোমুগ্ধকর প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত রাজারবাগের এই মাঠে দাঁড়িয়ে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে; যাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের নির্ভীক, দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যগণ ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আমি সেদিনের সকল শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতীয় চার নেতা এবং ৩০ লাখ শহীদকে। সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি আমার সহানুভূতি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হরতাল ও অবরোধের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন দিয়ে নারী-শিশু হত্যার ঘৃণ্য অপকর্ম প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। আমি এ জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে সকল পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

পুলিশের আধুনিকায়নে আমরা যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার অধিকাংশই আমরা ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পুলিশ বিভাগে ৩১৭৪৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করেছি। এ সকল পদে লোক নিয়োগ দিয়েছি। আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করেছি। এর ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গার্মেন্ট সেক্টরে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

 বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট যেমন ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং ২টি সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে যার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।