জানুয়ারি ২৯, ২০১৫, ০২:৪৩ পিএম
সন্ত্রাস দমন জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে পর্যায়ক্রমে ১২ হাজার আনসার নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মহাসড়কগুলোতে ২১৬টি পয়েন্টে এবং সারাদেশের হাইওয়ে ও ফিডার রাস্তায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জনপ্রতিনিধিদের গাড়ি চলাচলে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, গাড়ী পোড়ানো, মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, র্যাবের ডিজি, পুলিশের আইজি এবং মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহনের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত সড়ক পথ, রেলপথ এবং নৌপথে বেশী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজন গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা। সচেতনতা বিষয়টি হচ্ছে রাজনৈতিক।
তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সন্ত্রাসী হামালায় ক্ষতিগ্রস্ত যেসব গাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে এ পর্যন্ত ৩২৫টি বেসরকারী বাস পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ৫শ’ যাত্রিবাহী বাস ভাংচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ৫টি গাড়ী পোড়ানো হয়েছে। ২৬টি গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। সর্বমোট মারা গেছেন ১৪ জন। ৫০ জন আহত অবস্থায় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।