ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫, ০৫:৫৮ এএম
লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েব সাইটে শুক্রবার এ হত্যার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, অভিজিত রায় হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সংবিধান ও ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হামলা বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার যে গর্বিত রীতি রয়েছে এ হামলা তার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ চাইলে এ হত্যার তদন্তে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
পসাকি বলেন, অভিজিতের মৃত্যুতে আমরা তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাই। অভিজিত ছিলেন একজন সাংবাদিক, মানবতাবাদী, একজন স্বামী এবং একজন বন্ধু। অভিজিত হত্যা কি শুধুই হত্যা, নাকি এর পেছনে অন্য কোন ইঙ্গিত রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে পসাকি বলেন, "এই মুহূর্তে আমার কাছে আর কোন তথ্য নেই। যথার্থ হলে আমরা অবশ্যই কনস্যুলার সহায়তা দেব। আহ্বান জানালে আমরা তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত। পরিষ্কারভাবে বলছি, আমরা তার অতীত জানি। তবে এই মুহূর্তে প্রশাসনিক কোন বিষয় নিয়ে কিছু বলতে পারবো না। সময় হলে আমরা এ বিষয়ে আরও পরিষ্কার করে বলবো।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসরি কাছে ফুটপাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী রাফিদা আফরিন বন্যাও গুরুতর আহত হন। ঘটনার সময় তারা বই মেলা থেকে বাসায় ফিরছিলেন।
অভিজিৎ এবং রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। কয়েকদিন আগে তারা দেশে ফিরেন। বই মেলায় অভিজিতের দু’টি বই বেরিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সাবেক শিক্ষক অভিজিৎ রায় একজন ব্লগারও। ‘মুক্তমনা’ নামে একটি ব্লগের তিনি প্রতিষ্ঠাতা। ওই ব্লগে সাম্প্রদায়িক ও উগ্রধর্মীয় চেতনাবিরোধী লেখালেখি করতেন তিনি। সপরিবারের ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অনেক আগে থেকেই লেখালেখি নিয়ে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল বিভিন্ন ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী।