Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

গ্রাহকদের কাছে বিটিসিএল'র পাওনা ৩৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা

মার্চ ১, ২০১৫, ০২:২৬ পিএম


গ্রাহকদের কাছে বিটিসিএল'র পাওনা ৩৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা

 

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি গ্রাহকদের কাছে বিটিসিএল-এর ৩৩৪ কোটি ৭৩ লাখ ১৪ হাজার ৩শ’ টাকা (ভ্যাটসহ) বিল বাবদ বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি রোববার সংসদে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে এ  কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উক্ত খাতে সরকারের ২২১ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৪শ’ টাকা (ভ্যাটছাড়া) আয় হয়েছে।

ঢাকা শহরে ব্যক্তি মালিকানায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮১০টি টেলিফোন লাইন চালু রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেসরকারি টেলিফোনের ক্ষেত্রে সম্মানিত গ্রাহক বরাবরে বকেয়া বিল পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ বা তাগিদপত্র প্রদান করা হয়। তাগিদপত্র এবং স্মরণীকা প্রদান (টেলিফোনে অনুরোধ) করার পরও বকেয়া পরিশোধ না হলে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

তিনি বলেন, বকেয়ার দায়ে স্থায়ী বন্ধ টেলিফোনের ক্ষেত্রে হিসাব চূড়ান্ত করে পরিশোদের নিমিত্তে বিশেষ নোটিশ বা ম্যাজিস্ট্রিরিয়েল নোটিশ প্রদান করা হয়। টেলিফোন রাজস্ব পরিদর্শকগণের মাধ্যমে গ্রাহকদের অনুসন্ধান, বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে বকেয়া পরিশোদের জন্য অনুরোধ করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, খেলাপী গ্রাহকদের বিরুদ্ধে আদালতে টেলিগ্রাফ এ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়। রাজস্ব আদায়ে ত্বরান্বিত করার জন্য নিয়মিত বৈঠকসহ আদায়ের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

তিনি বলেন, সরকারি টেলিফোনের বকেয়া বিলের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা অধিদপ্তর বা পরিদপ্তরসমূহে প্রেরণপূর্বক বিল পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রদান করা হয়। প্রয়োজনবোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সমন্বয়কারী কর্মকর্তাকে বকেয়া পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়।

তিনি বলেন, সরকারি টেলিফোন সংযোগ বকেয়ার দায়ে বিচ্ছিন্ন করা হয় না বিধায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বকেয়া পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসসমূহ থেকে দাবিকৃত বকেয়ার মধ্যে কোন বিল বা বিলসমূহ পরিশোধ হয়ে থাকলে প্রতিনিধি প্রেরণপূর্বক বকেয়া সমন্বয় এবং প্রকৃত বকেয়া নিরূপণ করে আদায়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, কোন কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান বিল অপ্রাপ্তির কথা অবহিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে বিল প্রেরণপূর্বক বিলের টাকা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।