Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

‘জ্বালাও-পোড়াও বেশি দিন থাকবে না’

মার্চ ১৫, ২০১৫, ১২:৩৮ পিএম


‘জ্বালাও-পোড়াও বেশি দিন থাকবে না’

 

অবরোধ- হরতালের নামে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যা বেশি দিন থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অচিরেই এ সংকট থেকে উত্তরণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি, যদিও দেশে শান্তি ফিরতে নতুন নির্বাচনের উদ্যোগের শর্ত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রথমেই তিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেটের উদ্বোধন করেন। এর পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ছয়টি স্কুল ও কলেজের কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা।

চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে নাশকতায় মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতির দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই যথেষ্ট অগ্রগতি আমরা লাভ করছি। শুধু দুর্ভাগ্য যে, মাঝখানে কিছু সমস্যা এখনো হচ্ছে।

এই জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা, এসব কারণে কিছুটা সময়ের জন্য সমস্যা। তবে আমরা আশা করি, এসব সমস্যা বেশি দিন থাকবে না। আমরা এসব সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিদিন হরতাল ডাকা, প্রতিদিন অবরোধ, কিন্তু সেগুলোর কোনো কার্যকারিতা আসলে নেই। খামাখা কতগুলো মানুষকে হত্যা করা হয়। কেন এইগুলো করা হচ্ছে, আমি ঠিক জানি না। আমরা আশা করি যে এই সমস্যা বেশি দিন থাকবে না। আমরা এ সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের জন্যও তার দল দায়বদ্ধ রয়েছে। আমাদের একটা দ্বায়িত্ববোধ রয়েছে, একটা লক্ষ্য রয়েছে যে, এই বাংলাদেশকে আমরা স্বাধীন করেছি, এই বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হবে। কাজেই আমরা যতটা আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবো অন্যরা কিন্তু সেটা করবে না। প্রধানমন্ত্রী এসময় দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অর্জনটা হচ্ছে, এখানে ধনী-দরিদ্রের আয় বৈষম্য কমে যাচ্ছে। গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যে আয় বৈষম্য কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। অনেক দেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।

কিন্তু সেখানে দেখা যায় সাথে সাথে মূল্যস্ফীতিও বাড়ে এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানটাও দ্রুত বেড়ে যায়। গত ছয় বছরে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন তিনি।