Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

টুঙ্গীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি

মার্চ ১৭, ২০১৫, ০৫:২৯ এএম


টুঙ্গীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাড. আব্দুল হামিদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া পৌঁছেছেন।  

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে অবতরণ করে।

এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-০২ এসএম খুরশিদ-উল আলম স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ১৭ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ সময় ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নিবেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করবেন। এরপর বেলা পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের পাবলিক প্লাজায় শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। পরে একই স্থানে বইমেলার উদ্বোধন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গীপাড়ার বঙ্গবন্ধু ভবনে নামাজ আদায় ও মধ্যাহ্ণ বিরতি করবেন। বেলা ৩টায় তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গীপাড়ার রাস্তায় রাস্তায় তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। মাজার কমপ্লেক্স সাজানো হয়েছে নতুন করে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের পাবলিক প্লাজায় শিশু সমাবেশ উপলক্ষে বিশালাকৃতির প্যান্ডেল করা  হয়েছে। গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বোস জানান, প্রধামন্ত্রীর আগমনে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। কমপ্লেক্সের ফুল বাগানে নতুন কিছু ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে রংয়ের কাজ করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বিষয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু সমাবেশ উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ দিন প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গীপাড়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। তাই পুরো টুঙ্গীপাড়ায় নিরাপত্তা বলায় সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হবে। অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসীর কাছে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।