Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

দায়বোধ নিয়ে গবেষণা করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মার্চ ১৯, ২০১৫, ০৯:৪১ এএম


দায়বোধ নিয়ে গবেষণা করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

 

বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বোধ নিয়ে গবেষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা প্রকল্পে বিশেষ অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষের টাকায় আপনাদের ফেলেশিপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের টাকাতে বিজ্ঞান গবেষণায় অনুদান দেওয়া হয়। তাদের এই অবদানের কথা স্মরণ করে সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বোধ নিয়ে গবেষণা করুন।
বিজ্ঞানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে বাস্তবে সম্ভব নয়। বিজ্ঞানের চর্চা ও  গবেষণা ছাড়া কোনো দেশকে এগিয়ে যেতে পারে না। শিক্ষা ছাড়া, শিক্ষিত জাতি ছাড়া কোনো দেশকে দারিদ্র্য মুক্ত করা সম্ভব নয়। আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু, সাশ্রয়ী ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা অনেক অবদান রাখতে পারেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জ্ঞানভিত্তিক, বিজ্ঞানমনষ্ক জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সাইন্স অ্যান্ড আইসিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ ও বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরির কাজ করছি। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৩৪৩৪ জন ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে ২৩ কোটি ৩০ লাখ ২৬ হাজার টাকা ফেলোশিপ প্রদান ও একই সময়ে ১১১৫টি প্রকল্পের জন্য ৪৯ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা গবেষণায় অনুদান দেওয়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরে গবেষণা অনুদানের জন্য ১২ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে ৭ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। স্কুল পর্যায় থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পড়ানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীরা বিজ্ঞান ও কারিগরি বিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শুরু হওয়া হাইটেক পার্ক স্থাপন কাজের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে একটি আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামীতে সকল বিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা সারা দেশে ২০ হাজার ৫০০টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম প্রতিষ্ঠা করার কথা তুলে ধরেন।

চলমান সহিংস রাজনীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে কিছু আছে। বাংলাদেশের জনগণের যেকোনো বাধা মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। সে সাহস ও শক্তি বাঙালির আছে। সহিংস রাজনীতির জন্য বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অগ্রগতি কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।