Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

মেয়র পদে ৬০ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল

মার্চ ২৯, ২০১৫, ০২:২৪ পিএম


মেয়র পদে ৬০ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল

 



সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়াই করার জন্যে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৬০ জন প্রার্থী। যদি বাচাঁইপর্বে এদের কেউ বাদ না পরে তাহলে মেয়র পদে তিন সিটিতে ৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে লড়তে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করে ছিলেন ৩১ জন জমা দিয়েছেন ২৬ জন বাকি ৫ জন জমা দেননি। ঢাকা উত্তরে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ২৯ জন জমা দিয়েছেন ২১ জন বাকি ৮ জন জমা দেননি। এবং চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ছিলেন ১৮ জন তাদের মধ্যে জমা দিয়েছেন ১৩ জন প্রার্থী বাকি ৫ জন জমা দেননি। আগামী ২ এপ্রিল বাছাইপর্ব শেষে যদি সবাই ঠিকে যান তার পর থেকে ভোটারদের কাছে চূড়ান্ত দৌঁড়ঝাপ শুরু করবে প্রার্থীরা।

রোববার সকাল ১০ টা থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে শুরু করেন প্রার্থীরা। বিকাল ৫ টার দিকে রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, বিকাল ৫ টা পর্যন্ত তিনি সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৬০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার মধ্যে গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে দক্ষিণ সিটি করপেরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদের কার্যালয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিএনপির পক্ষে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা আব্দুস সালামের পক্ষে স্ত্রী ফাতেমা সালাম মনোনয়নপত্র জমা দেন বিকেল সোয়া ৩টায় ।

এছাড়া মির্জা আব্বাসের পক্ষে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান। অপরদিকে বিকাল সোয়া ৪টায় বিএনপি নেতা ড. এস এম আসাদুজ্জামান রিপন নিজেই মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টুর মনোনয়নপত্র জমা দেন তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা। অপরদিকে আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে অবস্থিত ঢাকা উত্তরের অস্থায়ী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক বিকেল ৩টায় মানোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিএনপির পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টু এছাড়াও দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেন মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়াল।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থীত প্রার্থী আ জ ম নাসির মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার সাথে বিএনপির পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র এম মন্জুর আলম। এছাড়াও জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। উত্তরে  জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী বাহাউদ্দিন আহমদ বাবুল। জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ববি হাজ্জাজ। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পক্ষে মেয়রপদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সোলাইমান আলম শেখ। অন্যদিকে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি ঢাকা দক্ষিণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যে বিকেল সাড়ে ৪ টায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী । আগাঁরগাও বিকেল সাড়ে ৪টায় তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

অন্যদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মহিলা মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী। বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা নেতারা  দাবি করেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকলে অবশ্যাই তারা বিজয় অর্জন করবে। এসময় তারা বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখার দায়িত্ব ইসির। তারা বলেন, একথা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেন,ইসির উচিত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী করা। সবাই যেন সমানভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারে সেদিকে তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। কেউ আদালতে মামলার পেছনে দৌড়াচ্ছে, আবার কেউ নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। আসলে সবার জন্য সমান পরিবেশ থাকা উচিত বল মনে করেন বিএনপি নেতারা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকলে আপনারা নির্বাচন থেকে ফিরে যাবেন কিনাএমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের ব্যাপারে বিএনপির এখন পর্যন্ত কোন দাবি নেই তবে এব্যাপারে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান বিএনপি  নেতারা।

 অন্যদিকে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে নির্বাচন করছেন না নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক কারাবন্দী মাহমুদুর রহমান মান্না। নাগরিক ঐক্যের সদস্য আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রবিবার তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কারাবন্দী মান্নার স্বাক্ষর সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতির প্রতিবন্ধকতা দূর করা আমাদের সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও অন্যান্য সহযোগিতার অভাব এবং তার শারীরিক সমস্যা প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 এ অবস্থায় মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে ডিসিসি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া প্রার্থীরা সকলেই বিজয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। বিএনপি নেতারা মনে করেন সুষ্ট নির্বাচন হলে তাদের প্রত্যেকটি প্রার্থীই বিজয় অর্জন করবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীরাও বিজয়ের ব্যাপারে সুনিশ্চিত। তবে সাধারণ মানুষের দাবি তারা সুষ্ঠ নির্বাচন চায়। কে বিজয় হবে তা ২৮ এপ্রিল দেখা যাবে।