ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪, ০৯:১৫ এএম
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামী ৫ জানুয়ারি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। কেননা গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শনিবার রাজধানীর ১০ বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতাসীন হওয়ায় গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি এবং বিএনপির ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব মাহবুব আলম চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় নেতা ইব্রাহীম খলিল সবুজ, ইয়াকুব আলী চৌধুরী ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ইনসুর আলী প্রমুখ।
কামাল বলেন, ‘আগামী ৫ জানুয়ারি বিএনপি আবারও আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। আমরা সেই দিনটি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করবো।’
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন,তারা দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। এই মহলটি দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। তারা ক্ষমতায় থাকার সময় দুর্নীতিতে চাম্পিয়ন হয়েছিল। তারা নির্বাচন প্রতিরোধের নামে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ আর কোন দিন তাদের সহ্য করবে না। কারণ এই দেশ পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান নয়।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রসঙ্গে কামাল বলেন, আইনকে পাস কাটিয়ে সরকার কোন বিচার করতে চায় না। যার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হতে দেরি হচ্ছে। আইন অনুযায়ীই যুদ্ধারাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
পরবর্তীতে কেউ যেন বিচার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার করতে পারতো। তা করা হয়নি। একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও সকল প্রক্রিয়া অনুস্বরণ করেই কার্যকর করা হবে।
বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে তারা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় এবং বিভিন্ন দেশের আইনের জটিলতার জন্য তাদের ফিরিয়ে আনতে বিলম্ব হচ্ছে।