Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

অবরোধের ছোঁয়া লেগেছে সবজী বাজারে

জানুয়ারি ৭, ২০১৫, ০২:২৯ পিএম


অবরোধের ছোঁয়া লেগেছে সবজী বাজারে

 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর টানা অবরোধের ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর সবজী বাজারগুলোতে। গত কয়েকদিনের দেশের রাজনৈতিক খারাপ অবস্থার কারণে কার্যত অচল হয়ে পরেছে সারা দেশ। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের মধ্যে  অন্যতম হচ্ছে খাদ্য দ্রব্য। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন ঢাকায় আসে হাজার হাজার  টন সবজী।

 কিন্তু গত কয়েকদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ঢাকায় সবজী আসা কমে গেছে।  যার ফলে গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে সবজীর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি প্রায় ৮ থেকে ১০ টাকা।

বুধবার  রাজধানীর কারওয়ান বাজার,যাত্রাবাড়ি,মৌলভী বাজার,এবং মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব দৃশ্য চোখে পড়ে। খুচরা সবজী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল ফুল কপি প্রতি পিচ ২০টাকা, আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বাধাঁ কপি প্রতি পিচ ২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৩০ টাকা,কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে রাজধানীর ধোলাইপার বাজারে বিক্রি হচ্ছে আরও উচ্চ দামে। সেখানে কেজি প্রতি আরও ১০ টাকা বেশি। ব্যবসায়ীরা বলেন দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের কারণে সবজীর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে আরও বেশি। মতিঝিলের দিলকুশার সবজী ব্যবসায়ী মামুন বলেন, গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে প্রতি কেজি সবজীর দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। সবজি ক্রেতা করিম সিকদার আমার সংবাদকে জানান, গত সপ্তাহে যে মুলা ১২ টাকা কেজি ক্রয় করেছি আজ তা ২০ টাকায় ক্রয় করলাম। ফুল কপি গত সপ্তাহে ক্রয় করেছি ৮ থেকে ১০ টাকায় আজ ক্রয় করছি ২০ টাকায়।

তিনি বলেন সবমিলিয়ে গত সপ্তাহ থেকে এসপ্তাহে সবজীর দাম  কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বাড়তি। যদি দেশের রজনৈতিক সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে এঅবস্থা হবে আরও করুণ। যা হয়তবা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে। বিভিন্ন ক্রেতা বিক্রেতারা এসমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের মানুষের সকল সমস্যা সমাধান এবং দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারকে ভোট দেই কিন্তু তারা ক্ষমতায় গিয়ে আমাদের কথা ভুলে যায়। যে সরকারে যায় সেই বলে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু পাইনা আমরা। আমরা দেখি সব কিছুর খেসারত দিতে হয় জনগণকে। মুখে মুখে বলে মানুষের জন্য রাজনীতি করে তারা বাস্তবে এর কিছুই না। তারা বলে দুই দলের ক্ষমতায় লড়াই চলছে আর খেসারত দিচ্ছি আমরা জনগণ। দেশের সাধারণ মানুষ এসমস্যার দ্রুত সমধান চান।

উল্লেখ্য গত ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারি দল দিনটিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে  উল্লেখ করে। অন্যদিকে বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট এদিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে উল্লেখ করে সমাবেশের অনুমতি চায় ডিএমপির কাছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করতে চায়। এহেন পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৪ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পযর্ন্ত সকল সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। এর পরও বিএনপি যে কোন মুল্যে সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেন।  ৫ জানুয়ারি গুলশানের কার্যালয় থেকে চেষ্টা করার পরও  বের হতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন ২০ দলীয় জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। তাকে আটক রাখা হয়েছে এবং গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি সারাদেশে অনির্র্দিষ্ট কালের অবরোধের ঘোষণার কথা গণমাধ্যম কর্মীদের জানালে এ পরিস্থি সৃষ্টি হয়।