Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

গানের ভুবনে নন্দিত দুজন

বিনোদন প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৭, ২০২২, ০৭:১০ পিএম


গানের ভুবনে নন্দিত দুজন

একজন অনিমা রায়, অন্যজন প্রিয়াংকা গোপ। শতবর্ষ বয়সি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রিয়াংকা গোপ। অন্যদিকে ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনিমা রায়। তিনি একজন নন্দিত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। রবীন্দ্র সংগীতই তার ধ্যান-জ্ঞান। অন্যদিকে প্রিয়াংকা গোপ বিশেষত শাস্ত্রীয় সংগীতে পারদর্শী।

পাশাপাশি অন্যান্য গানেও নন্দিত তিনি। প্রিয়াংকা গোপ ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। অন্যদিকে অনিমা রায় ২০১৩ সালে সংগীত বিভাগে (তখন নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ ছিল) যোগ দেন। অনিমা রায়ই সংগীত বিভাগ থেকে প্রথম নিযুক্ত বিভাগীয় চেয়ারম্যান। প্রিয়াংকা গোপ, অনিমা রায় দুজনই ২০১৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। 

গেল বৃহস্পতিবার এশিয়ান টিভির রাতের সরাসরি অনুষ্ঠানে গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ালেন প্রিয়াংকা গোপ। অন্যদিকে অনিমা রায় গতকাল সকালে চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন, মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতা-দর্শক। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি অনিমা রায়ের ‘সুর বিহার’ নামের একটি সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা চালু করেছেন তিনি ২০০৫-এ। এর আগে গান নিয়ে অণিমা রায় ও প্রিয়াংকা গোপের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হলেও। বিশেষত শিক্ষকতা বিষয়ে এবারই তারা দু’জন প্রথম মুখোমুখি হলেন। 

শিক্ষকতা প্রসঙ্গে অণিমা রায় বলেন,‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা সুরবিহারে শিক্ষকতা বিষয়টি আমি ভীষণ আনন্দ নিয়ে উপভোগ করি। তবে যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তখন আমি সুরবিহারের কথা ভুলে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষাথীকে নিজের সন্তানের মতো্ই আগলে রাখার চেষ্টা করি। আমি মনেকরি ওরাই আমার সব। 

আর যখন আমি সুরবিহারে যাই-তখন আমার কাছে মনে হয় এটা আমার সেই প্রতিষ্ঠান যাকে ঘিরে আমি আমার স্বপ্নগুলো বুনতে শুরু করেছিলাম। এখানে ৪ বছর বয়স থেকে ৬০ বছরের গানপ্রেমী শিক্ষার্থী আসেন। যতোটা আনন্দ দিয়ে গান শেখানো যায়-সেবই চেষ্টাটা থাকে আমার। সবাইকে শিখিয়ে আমি নিজে সমৃদ্ধ হই।’ 

প্রিয়াংকা গোপ বলেন,‘ একজন শিক্ষক হিসেবে আমি আমার দায়িত্বে শতভাগ সৎ। এটাও ভীষণ সত্যি যে আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেবার ক্ষেত্রে আমি যতোটা নরম স্বভাবের ঠিক ততোটাই কঠিন আমি। কঠিন এ কারণেই যে আমি নিয়মানুবর্তিতার বাইরে যেতে পছন্দ করিনা। 

ধরা যাক-দু’টো গান ঠিকঠাক মতো শিখে আসতে বলা হলো-কিন্তু ঠিকমতো শিখে আসলোনা, শুধু পরীক্ষার জন্য কোনরকম শিখে আসা, সময়মতো ক্লাশে না থাকা- এ বিষয়গুলো যখন আমি মেনে নিতে পারিনা-তখন আমি কঠিন হয়ে যাই। এটা শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই আমাকে করতে হয়।’