Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

রিয়াজের কান্নাকে নোংরামি বলছেন জায়েদ খান

বিনোদন প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৮, ২০২২, ০৮:১০ পিএম


রিয়াজের কান্নাকে নোংরামি বলছেন জায়েদ খান

আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে এফডিসি এখন সরগরম। এই নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে লড়ছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ। ফলে প্রতিদিনই এফডিসিতে যাচ্ছেন তিনি। শিল্পীদের কাছ থেকে ভোট প্রার্থনা করছেন ‘মনের মাঝে তুমি’ ছবির এই নায়ক। 

তবে নির্বাচনি প্রচারে আবেগাপ্লুত রিয়াজের কান্নাকে নোংরামি বলে মনে করছেন জায়েদ খান। গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কয়েকজন প্রবীণ শিল্পীর সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন রিয়াজ। সে ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল। 

এতে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ শিল্পীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন রিয়াজ। কান্নারত তিনি বলেন, ‘ভোটাধিকার হারানো এই মানুষগুলোর কান্না থামিয়ে মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে চাই। এই মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকান। তাদের সাথে অন্যায় হয়েছে।’ 

গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে ছিল মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল। তারা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ১৮৪ শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল করেছেন বলে শোনা যায়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সদস্যপদ হারানো সেই শিল্পীদের নিয়েই কান্না করেছেন রিয়াজ। তবে নায়কের এই কান্না ইতিবাচক নয়, নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন পরপর দুবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। 

তিনি বলেন, ‘রিয়াজ ভাইকে দেখে আমি সিম্পলি অবাক। একটা মানুষ কীভাবে এত নিচে নামতে পারে। যখন এই সদস্যদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়, তখন তিনি বাধা দেননি কেন। তিনি সিগনেচার কেন করেছেন? যে লোকটাকে নিয়ে তিনি কেঁদেছেন, রমিজ উদ্দিন তার নাম; তাকে যখন সহযোগী করা হয়, সেখানে আপনারও (রিয়াজ) স্বাক্ষর আছে। সেই ফাইলও আমার কাছে আছে। সংবাদ সম্মেলন করে ফাইলটা আমি দেখাব।’ 

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘এগুলো দরকার নেই রিয়াজ ভাইয়ের। সিনেমা থেকে চলে গেছেন। সিনেমা টুকটাক করেন। সম্মানের সঙ্গে থাকেন আমাদের মাথার ওপর। এসব নোংরামি কইরেন না। আপনাদের কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু শিখেছি। আপনারা সিনিয়র, আপনাদের দেখানো পথেই আমরা হাঁটব। আমাদের খারাপ কিছু দেখলে শাসন করবেন। কিন্তু নোংরামি করবেন না।’

এদিকে নিজের কান্না করার বিষয়টি নিয়ে রিয়াজ বলেন, ‘আমরা শিল্পী। তবে একজন মানুষের মধ্যে সহজাত যে আবেগ থাকে, সেটা আমাদের মাঝেও আছে। আমার মা যখন মারা গিয়েছিলেন, আমি যখন কাঁদছিলাম, অনেকের কাছেই তখন মনে হয়েছিল এটা হয়তো একধরনের অভিনয়। এটা আমি ফেইস করেছি বিগত দিনে। এটা শিল্পীদের একটি চিরায়ত ব্যাপার।’ 

রিয়াজ আরও বলেন, ‘একজন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ, ষাটোর্ধ নারী, যাদের সদস্যপদ বাতিল হয়েছিল। তারা আমাদের সঙ্গে  সোমবার নির্বাচনি গানের তালে নাচছিল। এই মানুষগুলোর খুব বেশি চাওয়া-পাওয়া নেই। তাদের আনন্দ দেখে এবং তাদের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি জেনে সহজাতভাবেই আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। সেই আবেগকে নিয়ে যারা ট্রল করেছেন, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। আপনারা এভাবেই ট্রল করতে থাকুন। 

তাতে আমাদের কিছু যাবে-আসবে না। আসলে তারকা হলেও আমরাও মানুষ। আমাদেরও হাসি-কান্না আছে। আমরা চেষ্টা করি আবেগকে দমিয়ে রাখতে। কিন্তু অনেক সময় দীর্ঘদিনের দমিয়ে রাখা আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়ে যেতেই পারে। একজন বৃদ্ধ শিল্পীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে আমি যদি ভুল করে থাকি, আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন।’