Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

জরায়ুর অপারেশন করতে এসে মলদ্বার কাটলেন চিকিৎসক!

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

অক্টোবর ২০, ২০১৯, ০৪:৪১ এএম


জরায়ুর অপারেশন করতে এসে মলদ্বার কাটলেন চিকিৎসক!

এবার জরায়ুর অপারেশন করতে গিয়ে পায়ুপথ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জে মেডিপ্লাস জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট ও সার্জন ডা. কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী রোগীর মা।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই রোগী ডালিয়া বেগম (৪০) বন্দর উপজেলার লেজার্স এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী।

রোগীর মা নূরজাত বেগম বলেন, কিছুদিন আগে আমার মেয়ের জরায়ুর সমস্যা নিয়ে ডা. কামরুন নাহারের কাছে আসি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি মেয়ের জরায়ুতে সমস্যা আছে জানিয়ে অপারেশন করতে বলেন। প্রায় ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপারেশন করাতে রাজি হন তিনি।

এদিকে শনিবার সকাল ৯টায় হাসপাতালে আসতে বললে আমরা যথা সময়ে হাসপাতালে হাজির হই। পরে দেড়টার দিকে অপারেশন শুরু হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা চলে গেলেও অপারেশন শেষ হয় না। পরে রোগীর কী অবস্থা, এমন প্রশ্নে কিছুই বলেন না তিনি। তবে বার বার প্রেসক্রিপশন দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ আনতে বলেন।

কয়েকবার ওষুধ আনার পর ফার্মেসির লোকেরা বলে, আপনারা কীসের অপারেশন করাতে এসেছেন? উত্তরে জরায়ুর অপারেশনের কথা বলা হলে, তারা বলেন, এসব ওষুধ তো পায়ুপথের জন্য। এগুলো দিয়ে কী করবেন? তখন আমাদের সন্দেহ হলে আমরা চিৎকার শুরু করি। এরপর তারা ভুল চিকিৎসার কথা স্বীকার করেন। পরে অপর এক ডাক্তারকে এনে অপারেশন করান।

ডাক্তার এসএম ইফতেখার উদ্দীন সাগর বলেন, আমি অন্য একটি রোগী দেখার জন্য এখানে এসেছিলাম। এখানে এসে ঘটনাটি জানতে পারি। পরে আমাকে ওই রোগীর পায়ুপথে অপারেশনের কথা বললে আমি করে দেই। আমি এর বেশি কিছু জানি না।

মেডিপ্লাস জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার বলেন, এই রোগী ডাক্তার কামরুন নাহারের। তিনিই রোগী আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

অপারেশনের সময় ডা. কামরুন নাহার আমাকে বলেন, একটা জটিল সমস্যা হয়েছে, একজন সার্জন ডাকতে হবে। আমরা একজনকে ডাকি। অপারেশনের সময় রোগীর মলদ্বার কেটে ফেলেছেন বলে স্বজনদের বলে গেছেন ওই ডাক্তার। এখন ঠিক হতে একমাস সময় লাগবে।

তবে এই ঘটনার পর বেশ কয়েকবার ফোন করার পরও ডা. কামরুন নাহার রোগীর কোনো খোঁজ নিতে আসেননি।

এই প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই রিপন আলি খান বলেন, ভুল চিকিৎসার খবর পেয়ে এখানে এসেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে এখনো কারো অভিযোগ পায়নি। পেলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেডআই