Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত নেতা নিহত

জানুয়ারি ২৮, ২০১৫, ১১:২৬ এএম


রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত নেতা নিহত

 
রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুরুল ইসলাম শাহীন (৪৫) নামের এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দু’টার দিকে তাকে নিয়ে নগরীর নলখোলা আশরাফের মোড় এলাকায় অভিযানে গেলে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে ডিবি পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে এক পর্যায়ে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন নূরুল ইসলাম। পরে ওই এলাকা থেকে কয়েকটি ককটেল, গুলি ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তবে পরিবারের দাবি ইসলামীয়া কলেজের ওই অধ্যাপককে ধরে নেওয়ার পর ডিবি পুলিশ নিজেদের হেফাজতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানান, নিহত নুরুল ইসলাম শাহীন ওরফে তাগু শাহীনের বাড়ি পবা উপজেলার আশরাফের মোড় এলাকায়। শাহীন রাজশাহী ৩০ নম্বর ওয়ার্ড শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে জামায়াতের সেক্রেটারি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৩ সালে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মাজিদের ওপর শিবিরের হামলার নেতৃত্ব দেন শাহীন।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলায় রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত ৯টার দিকে শাহীনকে নগরীর মালো পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাত সোয়া দুইটার দিকে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নগরীর নলখোলা এলাকায় পৌঁছালে শিবিরকর্মীরা হামলা চালিয়ে শাহীনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও পাল্টা ৫ রাউন্ড রাইফেল ও ১৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহীনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় শিবিরকর্মীদের ছোড়া ককটেলের স্প্লিন্টারে মোজাফ্ফর হোসেন (১০১২) ও গোলাম মোস্তফা (১৩০৫) নামের দু’জন ডিবি কনস্টেবল আহত হন। তাদের রাজশাহী পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রিভলভার, ১০টি ককটেল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি। ময়নাতদন্ত শেষে শাহীনের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানান।

এদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মা অফসেট থেকে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম শাহীনকে ধরে নিয়ে যায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মধ্যরাত পর্যন্ত ডিবি তাদের হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিতও করেছে। পরে সকালে হাসপাতালে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। ডিবি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

নিহত নূরুল ইসলাম শাহীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ইসলামীয়া কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন। নগরীর মালোপাড়া এলাকায় তার মালিকানাধীন পদ্মা অফসেট নামের একটি প্রেসও রয়েছে। শিক্ষকতার পাশপাশি প্রেস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই জামায়াত নেতা।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন, উপ-কমিশনার তানভীর হায়দার চৌধুরী, মহানগর গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার