মার্চ ৫, ২০১৫, ০২:২৫ পিএম
কিশোরগঞ্জে যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে নারীসহ অন্তত ১৮ জন যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আব্দুল মালেক (৩৫) ও জাহেদা (৪০) নামক দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। গুরুত্বর দগ্ধ আব্দুল মালেক (৩৫) নেত্রকোণা জেলার মদন থানার কদমজিরি গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র এবং জাহেদা (৪০) সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ জেলার টুকেরগড় গ্রামের আব্দুল বারিকের স্ত্রী। আহত অন্যান্যরা হলেন, দীপু রায় (২৩), মোতালেব (৩৮), পূর্ণিমা রায় (১৫), উষা রায় (১৭), বিল্পব পাল (৩০), নিমায় রায় (৩০), বিকাশ নায়েক মোদক (২৫), প্রতাপ চন্দ্র রঞ্জন (২৬), মাহফুজ (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নেত্রকোনার জেলার কেন্দুয়া থেকে ৩০/৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শাহ সুলতান পরিবহন নামে (ঢাকা মেট্রো ব-১১ ১৫ ১৯) যাত্রীবাহি বাস সিলেটের ভোলাগঞ্জে যাচ্ছিল। বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের চৌদ্দশত এলাকায় পৌঁছার পর দুর্বৃত্তরা বাসটিতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে। এতে সাথে সাথে বাসে আগুন ধরে যায়। এ সময় দগ্ধ হয় বাসে থাকা ১৮ যাত্রী। আগুনে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। দগ্ধ যাত্রীদের বেশিরভাগের শরীরের হাত এবং পা পুড়ে যায়। দগ্ধ বাসের চালক পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাস্টার প্রাণ নাথ সাহা জানান, তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দগ্ধ যাত্রীদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।