মার্চ ১৬, ২০১৫, ০৫:৪৩ এএম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটীতে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ভবনে বিস্ফোরণে আহত নাসির উদ্দিন (৩০) মারা গেছেন। সোমবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
নাসির উদ্দিনের বাড়ি ফতুল্লার ফাজিলপুরে। তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। তাঁর বাবার নাম আলী আকবর মাতবর।
নাসিরের ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, ফতুল্লার রূপসী হাউজিংয়ের ভেতর ওই এনজিওতে বিস্ফোরণের পর গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁর দুই ভাইসহ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, বিস্ফোরণে তাঁর অপর ভাই আসলাম গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, নাসিরের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন, বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আসলাম, সোহেল, মিজানুর রহমান ও ফেরদৌস আরমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে দগ্ধ আবদুল আলীম শঙ্কামুক্ত আছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় এনজিওটির কার্যালয়ে আকস্মিক বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই ভবনের ওপরের ফ্ল্যাটগুলো থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। তবে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ওই এনজিওর অফিস থেকে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হতো। এটির প্রধান অফিস টাঙ্গাইলে।
বিস্ফোরণের পর ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের স্ফুলিঙ্গ গ্যাস রাইজারে স্পর্শ করে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।