মার্চ ২৭, ২০১৫, ০৪:২৭ পিএম
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের বেনীপুর সীমান্তবর্তী মাঠ থেকে এক বাংলাদেশি যুবককে জোর করে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এরপর তাকে ফেরত চেয়ে বার বার অনুরোধ করে বিজিবি কিন্তু তাতে কোন সাড়া মেলে না ।
এক পর্যায়ে একই সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা এক ভারতীয়কে আটক করে বিজিবি। এরপর টনক নড়ে বিএসএফ’র। এ ঘটনার ১৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলে অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দু’দেশের দু’নাগরিককে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তর করে।
বিজিবি ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বেনীপুর সীমান্তের ডিসপোর্ট মাঠের ৬১/৭ এস পিলারের কাছ থেকে বাংলাদেশি মাদকাসক্ত যুবক বকুল (২৭) কে জোর করে ধরে নিয়ে যায় ভারতের ১৭৩ ব্যাটালিয়নের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা। বকুল বেনীপুর গ্রামের ঘোষপাড়ার সামসু মন্ডলের ছেলে।
খবর পেয়ে বকুলকে ফেরত চেয়ে বিএসএফকে পত্র দিয়ে কয়েক দফা অনুরোধ করে বিজিবি। কিন্তু বিএসএফ তাতে কোন সাড়া দেয়না। এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে ভারতীয় নাগরিক নোনাগঞ্জ গ্রামের রঞ্জন মল্লিকের ছেলে রাম মল্লিক (৪৫) ওই ডিসপোর্ট মাঠ দিয়ে ৬২ নং মেইন পিলার হতে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে ১০ বোতল ভারতীয় মদ ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ এলাকাবাসি তাকে আটক করে বেনীপুর বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলের কাছে হন্তান্তর করে।
এদিকে এ ঘটনার পর ভারতীয় নোনাগঞ্জ গ্রামবাসি রাম মল্লিক কে ফেরত চেয়ে বিকেলে বিএসএফ ক্যাম্প ঘেরাও করে। অবশেষে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তরের জন্য বিজিবি কাছে পত্র পাঠায়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় বেনীপুর সীমান্তের ডিসপোর্ট মাঠের ৬১/৬ এস পিলারের কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তর করে বিজিবি-বিএসএফ।
বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল এস এম মনিরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিজিবির কুসুমপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মোঃ রুস্তুম আলী এবং বিএসএফ’র ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফতেপুর কোম্পানী কমান্ডার সার্ভেস কুমার এর উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ এর নিকট হতে বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রহন এবং ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশি নাগরিক বকুলকে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের দায়ে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।