Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে গাজীপুর হতে অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার

ডিসেম্বর ২৬, ২০১৪, ১০:২৭ এএম


কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে গাজীপুর হতে অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার

  র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বিলগাথুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কানিজ ফাতেমা রানী (১৮) কে উদ্ধার করে অপহরন চক্রের ২সদস্যকে আটক করেছে।

র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া  শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় এক প্রেস ব্রিপিং-এ সাংবাদিকদেরকে জানায়, গাজীপুর জেলার শফিপুর প্রাণ কোম্পানীতে কর্মরত আছেন পরিচয় দিয়ে কুষ্টিয়া জেলার  দৌলতপুর উপজেলার মোহরামপুর গ্রামের মৃত মেহেদী মাষ্টারের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম অনিক (২৪) ওরফে অনিক আহমেদ সুমন (২৪), গত ১ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলার

কালিয়াকৈর উপজেলার এক ব্যক্তির বাড়ীতে বাসা ভাড়া নেয় এবং বাসা ভাড়া নেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে উক্ত বাসার মালিকের মেয়ে কানিজ ফাতেমা রানীর সহিত ভাড়াটিয়া অনিক আহমেদ সুমন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে সুমন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২১ ডিসেম্বর কানিজ ফাতেমা রানীকে নিয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে আসে। তারা প্রথম ঈশ্বরদীতে পরে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের মজিদ ভান্ডারীর বাড়ীতে ওই মেয়েকে আটকে রাখে। পরে সেখানে অপহরণকারী অনিক আহমেদ সুমন মেয়ের কাছে থাকা সহায় সম্বল ছিনিয়ে নেয় এবং তার পিতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসতে চাপ দেয়। মেয়ের পিতা কানিজকে না পেয়ে কালিয়াৗকর থানায় গত ২৩ ডিসেম্বর একটি জিডি করেন। ২৫ ডিসেম্বর অনিক আহমেদ সুমন তার মোবাইল ফোন দিয়ে অপহৃত কানিজ এর বড় ভাইকে ফোন করে এবং ৩লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। মেয়ের পিতা অনেক খুজাখুজি করে কানিজ কে না পেয়ে জিডির কপিসহ র‌্যাব-১ উত্তরা ঢাকায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ওই অভিযোগ র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়াকে হস্তান্তর করা হলে র‌্যাব-১২, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আলী হায়দার চৌধুরী, (ট্যাজ), বিএন এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল গত ২৫ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবল¤¦ন করে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন ।

এক পর্যায় শুক্রবার ভোরে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বিলগাথুয়া গ্রাম হতে ভিকটিম মোছাঃ কানিজ ফাতিমা রানী (১৮) এবং অপহরণকারী চক্রের মৃত বায়েজিদ মন্ডল এর ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম অনিক (২৪) ও সহযোগিতাকারী তার মা মোছাঃ আনোয়ারা বেগম (৫৫)কে নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার  করেন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, সে বিভিন্ন নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ইতিপূর্বে ৪/৫ জন মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে এসে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয় ।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাইদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।