ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪, ০১:৪৮ পিএম
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসক দ্বারা এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই চিকিৎসকের নাম বিশ্বজিৎ মন্ডল শোভন।
রোববার রাতে হাসপাতালের পঞ্চম তলার একটি পরিত্যক্ত কেবিনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের সূত্র জানান, নগরীর দৌলতপুর কৃষি কলেজ এলাকার এক বাসিন্দা ২০ ডিসেম্বর অসুস্থ্য হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫ ও ৬ নম্বর (পুরুষ) ওয়ার্ডের ১ নম্বর বেডে ভর্তি হন।
তিনি হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ মন্ডল শোভনের তত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সুযোগে দশম শ্রেণির ছাত্রীর দিকে কু-নজর পড়ে শোভনের। রোববার রাত পৌনে ৮টায় লোকজন কম থাকার সুযোগে বাবার চিকিৎসা সংক্রান্ত আলাপের কথা বলে শোভন ওই কিশোরীকে হাসপাতালের পঞ্চম তলার একটি পরিত্যক্ত কেবিনের মধ্যে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জানান, তারা হাসপাতালের পঞ্চম তলায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। এ সময় চিকিৎসকের সঙ্গে কিশোরীকে দেখে তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা বিষয়টির দিকে নজর রাখেন। একপর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাকে হাতে-নাতে ধরা হয়। তবে পুলিশকে খবর দেওয়ার ফাঁকে ওই চিকিৎসক পালিয়ে যায়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই মোক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। তাকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহবুব আলম ফারাজীর সহায়তায় ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এম এ সামাদ বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। বিস্তারিত জানতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।