Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

টাঙ্গাইলে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, নিহত ৩

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫, ০২:৪৭ পিএম


টাঙ্গাইলে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, নিহত ৩

টাঙ্গাইলে ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও কয়েক জন। এছাড়াও সাংবাদিক, পুলিশ, পথচারি ও আন্দোলনকারিসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। একজন ঘটনাস্থলে এবং বাকি দুইজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানান, নারী লাঞ্চনার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ফারুক হোসেন (৩৫) নামে এক পথচারী নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে কবির মিয়া (৩২) নামের গুরুতর আহত আরেকজন পথচারী মারা যান। নিহত ফারুক হোসেন কালিহাতী উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামের সামু শেখের ছেলে এবং কবির ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের আলহাজ মিয়ার ছেলে।

পরে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে অজ্ঞাত আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে এবং তাদের বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে বিক্ষোভ বিছিল বের করে ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার বিক্ষুব্ধ কয়েক শতাধিক জনতা। এ সময় পুলিশ তাতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়লে চারজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কয়েক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।


ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঘাটাইল উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে আল-আমিন ও তার মাকে জোরপূর্বক কালিহাতি উপজেলার সাতুটিয়া এলাকায় তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় রফিকুল ইসলাম রোমা ও তার সহযোগীরা। সেখানে একটি ঘরে তাদের আটকে রেখে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে আল-আমিনের মাকে ধর্ষণ করে বখাটে রোমা। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।