Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

টাঙ্গাইলের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫, ১২:২১ পিএম


টাঙ্গাইলের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি

       টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।শনিবার বিকালে কালিহাতী থানায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এদিকে ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্থানীয় পুলিশ ও জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

আজ বিকালে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী ও ঘাটাইল থানা এলাকায় সৃষ্ট ঘটনা, পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং তিনজন মানুষ নিহত হওয়া সম্পর্কে কারণ অনুসন্ধান ও দায়-দায়িত্ব নিরূপনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর।

ভারপ্রাপ্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানের নির্দেশে অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিসিপ্লিন) মো. আলমগীর আলমকে সভাপতি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান এবং টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসলাম খানকে সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শনিবার দুপুরে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহত তিনজনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।


উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে ধর্ষকের বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ বের করে ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পুলিশ এতে বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়লে দশজন আহত হন। পরে এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়।

নিহতরা হলেন, কালিহাতী পৌর এলাকার কুষ্টিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন (৩৫),একই উপজেলার সালাংকা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস।ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের আলহাজ মিয়ার ছেলে কবির (৩৫)।এঘটনায় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং আহত রুবেলের মা রুমিকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।শনিবার সারাদিন কালিহাতী ও আশে পাশের এলাকায় থম থমে ভাব বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কালিহাতী ও ঘাটাইল থানায় পৃথক দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।