Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

৩০ হাজার হজ প্রত্যাশীদের সমস্যা সমাধানে আল্টিমেটাম

মে ৪, ২০১৫, ০১:৫৭ পিএম


৩০ হাজার হজ প্রত্যাশীদের সমস্যা সমাধানে আল্টিমেটাম

 চলতি বছর ৩০ হাজার হজ প্রত্যাশী ব্যক্তিরা হজ করতে সৌদি যেতে পারবে না ধর্মমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সি মালিকরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার ‘ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সিসমূহ’ ব্যানারে তারা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সির সদস্য সচিব মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, ধর্মমন্ত্রী জানিয়েছেন এ বছর হজপ্রত্যাশী ৩০ হাজার জন হজে যেতে পারবেন না। এর ফলে যে সব হজযাত্রী এজেন্সির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের নিয়ে এজেন্সি মালিকরাও বিপদে পড়েছেন। তিনি বলেন, সরকার যদি তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা না করতে পারে তাহলে এ সব হজপ্রত্যাশীরা হজ এজেন্সি সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘর ও অফিসে আক্রমণ চালাতে পারে। আর এ সমস্যার জন্য দায়ী ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাদের অব্যবস্থাপনার কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। হজ এমন বিষয় যা নিয়ে আন্দোলন করার কথা নয়।

 কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অব্যস্থাপনায় আমাদের আন্দোলনে নামতে বাধ্য করছে।কাদের মোল্লা বলেনন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর আমরা এজেন্সির মালিকরা অফিসে বসতে পারছি না। হজে যাওয়ার জন্য যারা টাকা জমা দেয় তাদের অনেকেই গ্রামের নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ। তারা জীবনের শেষ সম্বল বিক্রি করে টাকা জমা দিয়ে যখন জানতে পারবে হজে যেতে পারবেন না, তখন তাদের মধ্যে অনেকেরই হার্ট এ্যাটাক করবে।সমস্যা সমাধানে কাদের মোল্লা সরকারের প্রতি তিনটি প্রস্তাব রাখেন।

এগুলো হল গত ৫ বছরযারা হজ পালন করেছেন তাদের সৌদি সরকারের বিধিনিষেধ অনুযায়ী অপেক্ষমাণ রাখা যেতে পারে। ওমরার মতো ৪০ বছরের নিচের হজযাত্রীর পাসপোর্টে দৃশ্যমান নামের মাহারাম নন এমন হজযাত্রীদের অপেক্ষমাণ রাখা যেতে পারে। বৃহত্তম সমস্যা সমাধানের প্রত্যেক এজেন্সি থেকে ৫০ জনের পর অতিরিক্তদের মধ্য থেকে ১০-১২ শতাংশ হজযাত্রীর কোটা অপেক্ষামাণ রাখা যেতে পারে। তবে আজকের মধ্যে দাবি না মানা হলে ৬ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তিনি।

 এর পরেও যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে ১১ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইহরামের কাপড় পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়।মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আশলাফ আলী, মাওলনা জাকারিয়া প্রমুখ।