Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্ব নবী(সা:) এর শিক্ষা (শেষ পর্ব)

ডিসেম্বর ১০, ২০২০, ০৪:১০ পিএম


স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্ব নবী(সা:) এর শিক্ষা (শেষ পর্ব)

(পূর্বে প্রকাশের পর)

তিনি আরও বলেছেন, স্বাস্থ্যকে কাজে লাগাও, স্বাস্থ্যকে রক্ষা করো। আল্লাহর নবী তাঁর এক সাহাবিকে ডেকে বললেন- হে আমার সাহাবি, জেনে রাখ, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক রয়েছে।’ (বুখারি)

এ সাহাবি যিনি সারাদিন রোজা রাখতেন আর সারারাত নফল নামাজে কাটিয়ে দিতেন। প্রিয়নবী (সা.) তাকে শরীরের হক আদায় করার কথা বলে সুস্বাস্থের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। যেন ধারাবাহিক রোজা পালন এবং রাতভর নামাজ আদায়ের কারণে অসুস্থ হয়ে না যান।

সুতরাং এ হাদিস থেকেও বোঝা যায়, ইসলাম এমন কিছু করতে বলে না; যা থেকে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আমরা যদি সবকিছু ভুলে গিয়ে শুধু দিন-রাত ইবাদতে মগ্ন থাকি আর শরীরের প্রতি, ঘর-সংসারের প্রতি, স্ত্রী-সন্তানের প্রতি খেয়াল না রাখি তবে কী মহান আল্লাহপাক সন্তুষ্ট হবেন?

‘না’, মোটেও না। আমাদের ইবাদত, ঘর-সংসার— সবকিছুই করতে হবে এবং স্বাস্থ্যের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। সুস্বাস্থ্য মূল্যবান সম্পদ। শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক স্বস্তির ওপরই একাগ্রচিত্তে ইবাদত নির্ভরশীল। হাদিস শরিফেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে জোর তাগিদ এসেছে—

* হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘অধিকাংশ মানুষ আল্লাহপাকের দুটি বিশেষ নিয়ামত সম্পর্কে খুবই অমনোযোগী। একটি হলো স্বাস্থ্য, অপরটি অবসর।’ (বুখারি ও তিরমিজি)

* রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দুর্বল মুমিনের চেয়ে শক্তিশালী মুমিন উত্তম এবং আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়।’ (মুসলিম)

ইসলামের দৃষ্টিতে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করার চেয়ে সুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে সর্ব প্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে তাহলো— তার সুস্থতা সম্পর্কে। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (তিরমিজি)

এছাড়া রোগাক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নেয়ার তাগিদও দিয়েছে ইসলাম। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে অসুস্থ হলে চিকিৎসা নিতেন এবং বলতেন—

‘হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা চিকিৎসা নাও, কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি; যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। তবে একটি রোগ আছে যার কোনো প্রতিষেধক নেই, তাহলো বার্ধক্য।’ (আবু দাউদ)

আল্লাহ তায়ালা বিশ্ববাসীকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করুন। হাদিসে বর্ণিত সুস্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয়গুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আমারসংবাদ/এমআর