Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

হিরো নন, তবুও তরুণ-যুবকদের আইডল আজহারী

ধর্ম ডেস্ক

জানুয়ারি ১৮, ২০২১, ১১:৫০ এএম


হিরো নন, তবুও তরুণ-যুবকদের আইডল আজহারী

কোনো হিরো না হয়েও তরুণ-যুবকদের আইডল হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খুলে পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের তারকাদেরও। কোনো গানের সুরে নয়, মিষ্টি কণ্ঠে কোরআন তিলওয়াত করে মুগ্ধ করেছেন পুরো বিশ্বকে। তার বলা প্রতিটি কথা অনুসরণ করে জীবন গতিপথও নির্ধারণ করেছেন অনেকে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সব শ্রেণি এবং পেশার মানুষের কাছে যিনি ব্যাপক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। তিনি আর কেউ নন, মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।

খুব অল্প সময়ে সুললিত কণ্ঠে কুরআন-হাদিসের সহজ-সাবলীল আলোচনা করে অসংখ্য মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। গবেষণাধর্মী আলোচনার কারণে তিনি খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বাংলা, আরবি এবং ইংরেজি তিন ভাষাতেই দক্ষ হওয়ায় বিভিন্ন দেশের মানুষ তার আলোচনা বুঝতে পারেন। 

১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরায় জন্মগ্রহণ করেন মিজানুর রহমান আজহারী। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগরে হলেও ছোটবেলা থেকে ঢাকাতেই বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবা একজন মাদরাসার শিক্ষক হওয়ায় ছোট থেকে মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। 

শৈশব থেকে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন আজহারী। ২০০৪ সালে ডেমরায় অবস্থিত দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০০৬ সালে আলিম পরীক্ষাতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ করেন তিনি।  

এরপর ২০০৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মিসর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিসরে যান। মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কারণে তার নামের সাথে ‘আজহারী’ উপাধি যুক্ত হয়।

মিসরে পাঁচ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া যান। সেখানে গার্ডেন অব নলেজ খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কোরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে ২০১৬ সালে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেন। 

পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করে মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে এমফিল এবং পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০১৬ সালের মধ্যে এমফিলও শেষ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘হিউম্যান এম্ব্রায়োলজি ইন দ্য হোলি কুরআন’।  তারপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। ‘হিউম্যান বিহ্যাভিয়ারেল ক্যারেক্টারইসটিক্স ইন দ্য হোলি কুরআন অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’র ওপর পিএইচডি গবেষণা করছেন।

মিজানুর রহমান আজহারী কোনো তাফসির মাহফিলে চুক্তিবদ্ধ হন না। হাদিয়া হিসেবে যা পান তাই নিয়ে থাকেন। 

ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেও নিজেকে যে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করা যায়, তার সর্বোত্তম উদহারণ মিজানুর রহমান আজহারী। তার উচ্চশিল চিন্তা ভাবনার জন্যেই তিনি যুবক সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাই তার তাফসির মাহফিলেও দেখা যায় তরুণ-যুবকদের স্রোত।

আমারসংবাদ/এডি