Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

সর্বপ্রথম কে খুলবেন জান্নাতের দরজা!

ধর্ম ডেস্ক

মার্চ ৩১, ২০২১, ১০:২০ এএম


সর্বপ্রথম কে খুলবেন জান্নাতের দরজা!

প্রতিটি মুসলমান বান্দার শেষ গন্তব্যে জান্নাত। জান্নাত' একটি আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ বাগান, উদ্যান, আবৃত স্থান। ফার্সি ভাষায় একে বলা হয় বেহেশত। বাংলায় একে বলা হয় স্বর্গ। জান্নাত হলো চির-শান্তির স্থান। তবে জান্নাত সবার জন্য নয়। আল্লাহর একজন মুমিন বান্দায় কেবল জান্নাতবাসী হতে পারবেন। 

তবে জানেন কী সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবেন কে?

এ বিষয়ে আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে আমার উম্মতের সংখ্যা হবে সর্বাধিক এবং আমিই প্রথম জান্নাতের দরজা খুলব।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬)। 

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি জান্নাতের দরজায় পৌঁছে দরজা খোলার জন্য বলব। তখন দাররক্ষী বলবে, আপনি কে? আমি বলব, মুহাম্মদ। তখন সে বলবে, আপনার সম্পর্কে আমাকে বলা হয়েছে যে আপনার আগে আমি যেন অন্য কারো জন্য এ দরজা না খুলি।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯৭)

জান্নাতে প্রবেশের মোট ৮ টি দরজা থাকবে। 

চলুন জেনে নেই সেই ৮ টি দরজা সম্পর্কে--- 

১.  বাবুস আস-সালাহ (নামাজের দরজা): যারা আন্তরিকভাবে নিয়মিত নামাজ আদায় করবে, তাদের সম্মানে জান্নাতের এই দরজার নাম করা হয়েছে বাবুস সালাহ বা নামাজের দরজা।

২.  বাবুল জিহাদ (জিহাদের দরজা): যারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর পথে তার জীবন ও সম্পদ দিয়ে জিহাদ করবে তাদের সম্মানে জান্নাতের এই দরজার নামকরণ হয়েছে বাবুল জিহাদ বা জিহাদের দরজা।

৩.  বাবুর-রাইয়ান:  যারা মহান আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠভাবে রোজা রাখবে, তাদের সম্মানে এই দরজার নামকরণ করা হয়েছে বাবুর রাইয়ান।

৪.  বাবুস-সদকা (দানের দরজা): মানুষের প্রয়োজনে যারা তাদের অর্থসম্পদ দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করবে, তাদের সম্মানে এই দরজার নামকরণ হয়েছে বাবুস সদকা।

৫.  বাবুল আইমান: কেউ কেউ এই দরজাকে বাবুস শাফাআতও বলেছেন। কিয়ামতের দিন যারা নবীজির সুপারিশে বিনা হিসাবে জান্নাতে স্থান পাবে, তাদের সম্মানে এই দরজার নামকরণ করা হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস : ৩৬৮)

৬.  বাবুল কাজিমিনাল গইজা ওয়াল আফিনা আনিন্নাস (রাগ দমনকারী ও লোকের ভুলকে ক্ষমাকারী ব্যক্তিদের দরজা):  যারা লোকদের ভুলকে ক্ষমা করে এবং নিজের রাগকে দমন করে, এই দরজার নামকরণ তাদের সম্মানে। (উমদাতুল কারি : ১৬/২৫৪)

৭.  বাবুর-রাদ্বিন (সন্তুষ্টদের দরজা) : এই দরজাকে কেউ কেউ বাবুল জিকির, বাবুল হজ, বাবুল ইলম ও বাবু লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহও বলা হয়। যারা আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট এবং আল্লাহও যাদের ওপর সন্তুষ্ট, তাদের সম্মানে এ দরজার নামকরণ হয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)

৮.  বাবুত তাওবা (ক্ষমা প্রার্থনার দরজা):  নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তার সম্মানার্থে জান্নাতের এই দরজার নামকরণ করা হয়েছে। এটি তাওবাকারীদের জন্য সব সময় খোলা থাকে। (জামিউস সগির, হাদিস : ৭৩২০)

আমারসংবাদ/এডি