ধর্ম ডেস্ক
এপ্রিল ২১, ২০২১, ১০:২০ এএম
জনপ্রতি এবার ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৭০ টাকা, সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা।
বুধবার (২১ এপ্রিল) জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
পরে ইসলামিক ফাউেন্ডশনের সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামি শরিয়াহ মতে গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির- এই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেয়া যায়।
উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিসমিস দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা এবং পনির দিয়ে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এই পাঁচটি পণ্যের যে কোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
স্থানীয় খুচরা বাজার এসব পণ্যের মূল্যে কিছুটা ফারাক দেখা যায়। ফলে স্থানীয় বাজার মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় ফিতরা সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা জানান, নেছাব পরিমাণ মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
সভায় ইসলামিক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহূল আমীন, বিশিষ্ট আলেম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।