Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

‘হে আল্লাহ রমজানের উসিলায় করোনা থেকে মুক্তি দাও’

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ৯, ২০২১, ০৮:১৫ পিএম


‘হে আল্লাহ রমজানের উসিলায় করোনা থেকে মুক্তি দাও’

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। দেশের মসজিদগুলোতে কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে প্রার্থনারত আছেন মুসলমানরা।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র এশার নামাজ ও তারাবি আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বায়তুল মোকাররমে যৌথভাবে ইমামতি করেন পেশ ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাকী নদভী ও ইমাম মহিউদ্দিন কাসেমি। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া মোনাজাত করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাকী নদভী।

মোনাজাতে করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করে তিনি বলেন, হে আল্লাহ, পবিত্র রমজানের উসিলায় এই মহিমান্বিত রজনীতে তুমি আমাদের এই মহামারি থেকে মুক্তি দাও। যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের জান্নাত নসীব করো।

যারা অসুস্থ্য তাদের সুস্থ্য করে দাও। করোনা মহামারিসহ সব ধরণের বালা মুসিবত থেকে তুমি দেশ জাতি ও সারাবিশ্বকে পরিত্রাণ দাও। তুমি ছাড়া আমাদের রক্ষা করার আর কেউ নাই, তুমি একমাত্র রক্ষাকারী। আজকের এই পবিত্র রাতে তুমি আমাদের দোয়া কবুল করো। আজ রাতে দোয়া কবুল হওয়ার রাত।

মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে তিনি বলেন, হে আল্লাহ, তুমি আমাদের রোজা, এবাদত বন্দেগি কবুল করো। আমাদের মা-বাবাসহ সকলের গুনাহ ক্ষমা করো। আমরা তওবা করছি আল্লাহ, তুমি আমাদের মাফ করো। রমজানের পর গুনাহমুক্ত জীবন-যাপনের তওফিক দাও। বাংলাদেশকে সব ধরণের অশান্তি ও ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করো।

এদিকে, করোনা মহামারির মধ্যেও মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের ভিড়। তারবির নামাজের পর বিশেষ মোনাজাতে দেশের সুরক্ষা ও করোনা মুক্তির কামনা করা হয়। কোনও  কোনও মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল। শবে কদর, যাকাত ও রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন খতিবরা। কোন কোন মুসল্লিরা যিকির এবং তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইবাদত করছেন।

উল্লেখ্য,  আরবি শব্দ ‘লাইলাতুল’ অর্থ রাত  এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ মর্যাদা। অর্থাৎ লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রাত। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, লাইলাতুল কদরে সৌভাগ্য বয়ে আনে । এ রাতে মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারিত হয়। এ কারণে লাইলাতুল কদরের রাত অত্যন্ত পুণ্যময়। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক পূণ্যের।
 
শবে কদরের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ নির্ধারিত নেই। ২০ রমজানের পর যে কোন  বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। এ কারণে বেজোড় রাতে ইবাদতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এই রাতেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।

 এ রাতে গুনাহ মাফ চেয়ে আমাদের বেশি বেশি ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে অনেক আলেমরা মনে করেন। এ কারণে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হয়ে আসছে।

আমারসংবাদ/এআই