Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সফর মাসের আমল ও ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০১:০০ পিএম


সফর মাসের আমল ও ফজিলত

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী বছরের ১২টি মাসের মধ্যে চারটি মাস (জিলকদ, জিলহজ, মুহররম ও সফর) অতি সম্মানিত বা হারাম এবং এ চারটি মাসে যে কোনো ধরনের অন্যায়, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, হত্যাযজ্ঞ তথা সব প্রকার পাপকার্য করা গুরুতর অপরাধ ও অবৈধ। এ চারটি মাস ব্যতীত বাকি আটটি মাসও মহান আল্লাহর সৃষ্ট এবং এ মাসগুলোও কম সম্মানিত নয়। সার্বিক গুণাগুণ, বৈশিষ্ট্য ও আমলের দিক থেকে বিশেষ করে রয়েছে শাবান, রমজান ও শাওয়াল মাসের প্রথমাংশের আমল। রয়েছে প্রত্যেক মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের আইয়্যামে বি’যের রোজা পালন, যা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

মূলত মানুষ ইসলামি শরিয়তের বিধিবিধান অনুসরণ করে যদি পুরো মাস বা বছরব্যাপী নেক আমল করে থাকে তাহলে তার সকল দিন, মাস, বছর সবই আল্লাহ্ তাআলার নিকট মঙ্গলময় ও ফজিলতপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। 

তাই পবিত্র সফর মাসে অধিক হারে নেক ‘আমল করলে অধিক হারে সাওয়াবের ভাগী হওয়া যাবে। যেমন—আল্লাহ্ তাআলা কোরআনুল করিমের সুরা কাসাসের ৮৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি পুণ্যকর্ম সম্পাদন করল, তার জন্য রয়েছে তদপেক্ষা উত্তম বিনিময়।’ এ পরিপ্রেক্ষিতে সফর মাসে যে যত বেশি নফল ইবাদত করবে আল্লাহ্ পাক তাকে তত অধিক হারে বিনিময় প্রদান করবেন। প্রত্যেক চান্দ্রমাসের ১, ১০, ২০ ও ২৯-৩০ তারিখ নফল রোজা এবং সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নত রোজা পালন খুবই পুণ্যময় আমল। 

তাছাড়া এ মাসে ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত যথাযথভাবে আদায়ের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, জিকির আজকার, নফল ইবাদত, তাসবিহ্ তাহলিল পাঠ করা খুবই পুণ্যের কাজ।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর মাসের শেষ দিকে প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলেন। সফর মাসের শেষ বুধবার তিনি অনকেটাই সুস্থতা লাভ করেন। এ খুশিতে অনেক সাহাবি বিভিন্নভাবে দান-সাদকা করছেন। এ দান-সাদকা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ। তবে এমন কোনো হাদিস বা দলিল নেই যে, পরবর্তী সময়ে সাহাবায়ে কেরাম এ দিনটি খুশির দিন হিসেবে উদ্যাপন করেছেন বা প্রতি বছর দান-সাদকা করেছেন। তার পরও আমাদের দেশসহ কোনো কোনো দেশে মুসলমানগণ এই দিবসটি আখেরি চাহার শোম্বা হিসেবে পালন করে থাকেন। এ বছর দিবসটি পালিত হবে আগামী ৬ অক্টোবর।

আমারসংবাদ/আরএইচ