Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

যুবকদের গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়

ধর্ম ডেস্ক

নভেম্বর ১৬, ২০২১, ০২:০৫ পিএম


যুবকদের গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় যৌবনের দিনগুলো। এই সময়ে শয়তান সব সময় তরুণদের পিছু লেগে থাকে। শয়তান যৌবনের পবিত্রতাকে নষ্ট করতে চায়। আল্লাহ তায়ালা ইবাদত করা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। অনেকের জীবন নষ্ট হয়েছে।

গুনাহ থেকে বাঁচার কার্যকর ৩ টি উপায়।

১. গুনাহের উৎস বন্ধ করে দেওয়া। গুনাহের উৎস হলো ‘চিন্তা-ভাবনা’। তাই চিন্তা ভাবনাকে ২৪ ঘন্টা কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখুন; আপনার চিন্তা ভাবনায় ফিল্টার বসিয়ে দিন। আপনার মনের দরজা-জানালা এমনভাবে খুলে দিবেন না যে, যার ইচ্ছে ঢুকবে যার ইচ্ছে বের হবে। আপনার মনকে যা ইচ্ছে তা ভাবতে দিবেন না। মনে রাখবেন যত গুনাহে আপনি লিপ্ত হন তার শুরুটা আপনার চিন্তা-ভাবনা থেকেই শুরু হয়।

প্রথমে গুনাহের চিন্তাটি আপনার মনে উদিত হয়, তারপর সেটি নিয়ে আপনি আরও ভাবতে থাকেন, তারপর মোটামুটি একটি পরিকল্পনা দাড় করেন, অতঃপর গুনাহটি সম্পন্ন করেন। আপনি যদি মনে আসতেই গুনাহের চিন্তাটিকে থামিয়ে দিতে পারেন, তবে আপনি গুনাহ থেকে সফলভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন; ইনশাআল্লাহ।

আমাদের মনে সবসময় কোনো না কোনো চিন্তা ঘুরপাক খেতেই থাকে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, যখনি কোনো বাজে চিন্তা মাথায় আসে, সাথে সাথে ঝেড়ে ফেলুন। নিজেকে সবসময় গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত রাখুন। পাঁচ ওয়াক্তের সালাত যেকোনো মূল্যে মসজিদে গিয়ে আদায় করুন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করুন, সকাল-বিকালের জিকির-আজকার গুরুত্ব সহকারে আদায় করুন, দ্বীনি বইপুস্তক পড়ুন এবং নিজেকে পুরোদিন কল্যাণমূলক চিন্তায় ব্যস্ত রাখুন। যখনই কোনো গুনাহের চিন্তা উদিত হয়, তখনই আপনি ইস্তেগফার করুন এবং আল্লাহর জিকিরগুলো পড়তে থাকুন।

আমাদের মন একই সাথে দুটো চিন্তা করতে পারে না। আমরা যখন জিকিরে মশগুল হয়ে যাব, গুনাহের চিন্তা এমনিতেই থেমে যাবে।

শয়তান বারবার আপনার মনে কুমন্ত্রণা দেবে, আপনার হৃদয়ে গুনাহের চিন্তা ঢুকিয়ে দেবে। শয়তানের একটি বিষাক্ত তীর হলো ‘কুদৃষ্টি’। আপনি কঠোরভাবে আপনার নজরের হেফাজত করুন। ফেইসবুক-ইউটিউবের এই যুগে নজরের (দৃষ্টির) হেফাজত কঠিন ব্যাপার। আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনকে নিয়ন্ত্রণ করুন। ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও ইসলামি পেজগুলোকে সি-ফার্স্ট দিয়ে রাখুন। ইউটিউবে অন্তত ২০টি ইসলামি চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। নষ্ট ফাইলগুলো হাইড করে দিন।

২. সৎসঙ্গ গ্রহণ। আপনাকে অবশ্যই অসৎসঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। নামাজি ও নেককার মানুষকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করুন, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা মনে পড়ে, আখেরাতের কথা স্মরণ হয়। যতদিন অসৎসঙ্গ ত্যাগ না করবেন, গুনাহ থেকে আপনি বেঁচে থাকতে পারবেন না।

৩. বিয়ে। কিছু গুনাহ আছে যা বিয়ে করা ব্যতীত এর থেকে বেঁচে থাকা অসম্ভবই বলা যায়। তাই তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলার চেষ্টা করুন।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা হজরত রাসূলুল্লাহ সা.-এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা ছিলাম যুবক (বিবাহের ব্যয় বহনের) সামর্থ্য আমাদের ছিলো না। তিনি বলেন, হে যুবসমাজ! তোদের বিয়ে করা উচিত। কেননা এটি দৃষ্টিশক্তিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে রাখে সুরক্ষিত। আর তোমাদের মধ্যে যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে, কেননা রোজা তার যৌনশক্তিকে দমিয়ে রাখবে।’ -সুনানে তিরমিজি: ১০১৯

আমারসংবাদ/আরএইচ